১৬ ঘণ্টা পর মুখ খুলে মরিয়মের মা বললেন, ‘আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল’

ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামে পরিচিতের বাড়ি থেকে উদ্ধার ১৬ ঘন্টা পর মুখ খুলেছেন খুলনার মহেশ্বরপাশা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগম (৫২)। প্রায় ২৮ দিন ধরে নিখোঁজের পর শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। তবে উদ্ধারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নির্বাক ছিলেন তিনি।

এ ঘটনার প্রায় ১৬ ঘন্টা পর রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টার দিকে সন্তানের মুখোমুখি হয়ে মুখ খুলেন তিনি। এসময় তিনি দাবি করেন, নিজ বাসার নিচ থেকে চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত মুখে কাপড় বেঁধে অপহরণ করা হয় তাকে। পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব বাংলাদেশ (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, শনিবার ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে উদ্ধারের পর থেকে কোনো কথাই বলছিলেন না রহিমা বেগম। বেলা ১টার দিকে তাঁর সন্তানের মুখোমুখি আনা হয়। পরে তিনি অপহৃত হয়েছিলেন বলে দাবি করেন।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, রহিমা বেগমকে অপহরণের পর অজ্ঞাত স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করেন। জমিজমার বিরোধ থাকা কিবরিয়া, মহিউদ্দিনসহ কয়েক ব্যক্তি তাঁর কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন ও বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তাঁকে এক হাজার টাকা দিয়ে ছেড়ে দেন।

রহিমা বেগমের দাবি, তিনি কিছুই চিনতে পারছিলেন না। এক পর্যায়ে গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর হয়ে পূর্বপরিচিত ভাড়াটিয়ার ফরিদপুরের বোয়ালখালী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে যান। কিন্তু তাঁর কাছে কোনো মোবাইল নম্বর না থাকায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা রহিমা বেগমের বক্তব্য যাচাই-বাছাই করছি। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী সব কিছু করা হবে। ’

Check Also

বান্দরবানে হোটেলে কাজ নিয়েছিলেন রহিমা বেগম

খুলনার মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগমের অপহরণের প্রমাণ পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বরং …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *