টনসিলের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন! এক্ষেত্রে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো যখন চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করতে বলে।
তবে জানেন কি? এই বিষয়ে সচেতন থাকলে প্রথম অবস্থাতেই টনসিল সংক্রমণ সারিয়ে তোলা সম্ভব। ওষুধেরও প্রয়োজন নেই, মাত্র তিনটি ঘরোয়া উপায়েই টনসিলের ব্যথা দূর করতে পারবেন-




১. লবণ পানির ম্যাজিক
হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে তিন থেকে চার বার করে অন্তত তিন দিন গার্গেল করুন।




২. নারকেল তেল, লেবু ও মধুর মিশ্রণ
একটি পাত্রে এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে হালকা আঁচে গরম করুন। গরম হলে মিশ্রণটি চুলা থেকে নামিয়ে একটি পাত্রে রেখে ঠাণ্ডা করুন। এবার এই মিশ্রণটি একটি কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করুন। টনসিলের ইনফেকশন কমাতে এই সিরাপটি দারুণ কার্যকরী। প্রতিদিন এক টেবিল চামচ এই সিরাপ গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন অন্তত তিন বার।




৩. আদা, লেবু ও মধুর মিশ্রণ
এক কাপ গরম পানিতে আদা কুচি মিশিয়ে পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখুন। এরপর পানি ছেঁকে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে দিনে তিন বার পান করুন।




সূত্র: টপটেনহোমরেমেডি
ধূমপান ছাড়লেই ফুসফুস হবে পরিষ্কার, নইলে ক্যান্সার
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কথাটি সবাই জানলেও মানে না। এর অন্যতম কারণ হলো বদঅভ্যাস। আজ ছাড়বো কাল ছাড়বো বলেও হয়ত অনেকেই ধূমপানের নেশা বাদ দিতে পারে না। তবে জানেন কি? ধূমপান ছাড়া মাত্রই ফুসফুস আপনার বিগত দিনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠে এর কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।




এজন্য এটি ভাবার অবকাশ নেই, যা ক্ষতি হওয়ার হয়েই তো গেছে! এখন আবার ধূমপান ছেড়েই বা কী লাভ? এমন ভাবনা সত্যি অযৌক্তিক ছাড়া আর কিছুই নয়। বরং ফুসফুসের সেই সক্ষমতা রয়েছে যে পুনরায় সব ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে ওঠার। এটিই ফুসফুসের জাদুকরী এক ক্ষমতা। এমনটিই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে শুধু ধূমপান ছাড়ার পরই ফুসফুস সেই কার্যটি সম্পাদন করতে পারবে। এজন্য ধূমপান ছাড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।




ধূমপানের কারণেই মূলত ফুসফুসে ক্যান্সারের আশঙ্কা তৈরি হয়। তবে ধূমপান বাদ দিয়ে দিলে ফুসফুসের কয়েকটি কোষই পরে ফুসফুসকে পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে ভূমিকা রাখে। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, টানা ৪০ বছর ধরে যারা প্রতিদিন এক প্যাকেট সিগারেট খেয়েছেন ধূমপান ছেড়ে দেয়ার পর তাদের ফুসফুসের ক্ষেত্রেও এই বিষয় দেখা গেছে।




সিগারেটে থাকা হাজারো রাসায়নিক পদার্থ ফুসফুসের কোষের ডিএনএকে পরিবর্তন করে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষে পরিবর্তন করে। সাম্প্রতিক গবেষণাটিতে প্রকাশিত হয়েছে, ধূমপায়ীদের ফুসফুসে ক্যান্সারের উপস্থিতি পাওয়ার আগে থেকেই ফুসফুসের কোষ ব্যাপক হারে পরিবর্তিত হতে থাকে। ধূমপায়ীদের শ্বাসনালী থেকে নেয়া কোষের অধিকাংশই ধূমপানের ফলে পরিবর্তিত হয়ে গেছে বলে দেখা গেছে।




কোনো কোনো কোষে ১০ হাজার পর্যন্ত জিনগত পরিবর্তনও লক্ষ্য করা গেছে। গবেষক ড. কেট গাওয়ার্স বলেন, এই পরিবর্তনগুলোকে ছোট আকারের টাইম বোমার সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। পরবর্তী আঘাতের সঙ্গে সঙ্গেই হয়তো এটি ক্যান্সারে রূপান্তরিত হবে। তবে এরকম ক্ষেত্রেও অল্প কিছু সংখ্যক কোষ অপরিবর্তিত থেকে যায়।




ধূমপানের কারণে হওয়া জিনগত পরিবর্তন ওই কোষগুলো কীভাবে এড়িয়ে গেল, তা পরিষ্কার নয়। কেউ যখন ধূমপান ছেড়ে দেয়, তখন ওই অপরিবর্তিত কোষগুলো সংখ্যায় বাড়তে থাকে এবং ফুসফুসের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে প্রতিস্থাপিত করে। যেসব মানুষ ধূমপান ছেড়ে দেয়, তাদের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কোষের গঠন কখনো ধূমপান না করা মানুষের কোষের গঠনের মতো হয়ে যায়।




স্যাঙ্গার ইনস্টিটিউটের ড. পিটার ক্যাম্পবেল বলেন, আমরা এই অবিষ্কারের জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না। কিছু কোষ থাকে যেগুলো, অনেকটা জাদুকরীভাবেই, শ্বাসনালীর প্রান্তগুলোকে পুনর্গঠন করে। অবাক করা বিষয় হলো, ৪০ বছর ধূমপান করার পরও যারা ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও অপরিবর্তিত কোষের মাধ্যমে সুস্থ কোষ পুনর্নির্মাণের ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র :বিবিসি
পাঠকের মন্তব্য: