




মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কন্যা ফাতিমা (রা.) নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘দ্য লেডি অব হেভেন’। তবে এই চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ করেছে মরক্কো। ব্রিটিশ পরিচালক এলি কিংয়ের নির্মিত এই চলচ্চিত্রকে মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশ ব্ল্যাসফেমি আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মরক্কোর সিনেমাটোগ্রাফিক সেন্টার (সিসিএম) গত শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দ্য লেডি অব হেভেন’ নামের ওই চলচ্চিত্র মরক্কোতে প্রদর্শনীর লাইসেন্স পাবে না।
সিসিএম ব্রিটিশ পরিচালক এলি কিংয়ের নির্মিত ওই চলচ্চিত্রের মরক্কোতে বাণিজ্যিক অথবা সাংস্কৃতিক প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে নির্দেশনা জারি করেছে। দ্য লেডি অব হেভেনকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কন্যা ফাতিমার জীবনের ওপর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র বলে জানিয়েছেন এলি কিং। এই চলচ্চিত্রে পরিচালক একুশ শতকের ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং সুন্নি ইসলামের ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের মধ্যে বিতর্কিত যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টা করেছেন। যা নিয়ে মুসলিম বিশ্বে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।





গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে মরেক্কার সর্বোচ্চ ধর্মীয় নীতি নির্ধারণী কর্তৃপক্ষ উলামা কাউন্সিল এই চলচ্চিত্রের তীব্র নিন্দা জানায়। এর কয়েক ঘণ্টা পর সিসিএমের চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলচ্চিত্রটি ইসলামের ইতিহাসের প্রতিষ্ঠিত সব সত্যের স্পষ্ট মিথ্যাচার। মুসলিম বিশ্বের ব্যাপক ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দার মাঝে গত ৩ জুন ব্রিটেনে বিতর্কিত এই চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। পরে ব্রিটেনে সিনেমা হলের বাইরে মুসলিমরা প্রচণ্ড বিক্ষোভ করেন। মুসলিমদের তীব্র আপত্তির মুখে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিনেমা চেইন প্রতিষ্ঠান সিনেওয়ার্ল্ড চলচ্চিত্রটির সব প্রদর্শনী বাতিল করতে বাধ্য হয়। মিসর, পাকিস্তান, ইরান এবং ইরাকসহ অনেক মুসলিম দেশ চলচ্চিত্রটি ইসলাম ধর্মের অবমাননা আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এর আগে, কয়েকটি সিনেমা হলের বাইরে প্রচণ্ড বিক্ষোভের পর হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কন্যা হযরত ফাতেমা (রা.)-কে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী বাতিল করেছে ব্রিটিশ সিনেমা কোম্পানি সিনেওয়ার্ল্ড। কোম্পানিটি জানিয়েছে, কর্মী ও দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত। এক লাখ ২০ হাজারের বেশি লোকের গণস্বাক্ষর করা একটি পিটিশনে ব্রিটেনের সিনেমা হল থেকে ‘দ্য লেডি অব হ্যাভেন’ সিনেমাটি নামিয়ে ফেলার আবেদন জানানো হয়েছিল
Alok Barta Bangla Live News
