ভিডিও ফাঁসের ভয়েই কি ৬ তলা থেকে ঝাঁপ মডেল গুনগুনের!

বয়স মাত্র ১৯ বছর। নাম গুনগুন উপাধ্যায়। ডাকনাম লিচি। পেশায় মডেল। একটি বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়ে খবরের শিরোনামে। কিন্তু হঠাৎ জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত কেন? উঠে আসছে এক গুচ্ছ তত্ত্ব। গুনগুনের বাবা গণেশ উপাধ্যায় ব্যবসায়ী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে যোধপুরের পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, উদয়পুর থেকে যোধপুর ফেরার পর গুনগুন সোজা হোটেলে চলে যান। তখন তার বাবা রেল স্টেশনে মেয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

ওই হোটেলের ছয় তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন গুনগুন। ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার পর নীচে পার্ক করা গাড়ির উপর পড়ে যান তিনি। বুকে চোট পান। পায়ের হাড় ভাঙে। বিপুল রক্তক্ষরণ হয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অবস্থা সঙ্কটজনক। ঝাপ দেওয়ার আগে গুনগুন বাবাকে ফোন করেন। বলেন, ‘আমি নিজেকে শেষ করে দিচ্ছি। আমি চলে গেলে আমার মুখের দিকে তাকিও’। এর পরই তিনি বারান্দা থেকে ঝাপ দেন। গুনগুনের বাবা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত ওই হোটেলে পৌঁছায়। কিন্তু তত ক্ষণে যা ঘটার ঘটে গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় একটি ফ্যাশন শো-তে অংশ নিয়ে তিনি ওই হোটেলে পৌঁছান সকালে। তার পর সেখান থেকে ঝাঁপ দেন। কিন্তু কেন? প্রশ্ন আরও, ঝাঁপ দেওয়ার আগে বাবাকে ওই কথাগুলোই বা বললেন কেন? পেশাগত বা ব‍্যক্তিগত ক্ষেত্রে কি কোনও সমস্যার মধ‍্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন? প্রেম ঘটিত কোনও সমস্যা কি ছিল, নাকি এর পেছনে কোনও অন্য কারণ রয়েছে? এ সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এমন তত্ত্বও উঠে আসছে, মডেলিং করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কোনও চক্রে জড়িয়ে পড়েননি তো। অথবা, তাকে কোনও ভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়নি তো? পুলিশ সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে গুনগুন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। তাই তার জ্ঞান ফেরার পরেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কিন্তু এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে, তার জন্য গুনগুনের পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। সেখান থেকেই উঠে এসেছে কিছু সূত্র। যার সূত্র ধরে কিঞ্চিৎ অগ্রসরও হয়েছে পুলিশ।

গুনগুনের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। কী অভিযোগ করেন গুনগুনের বাবা? সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন থেকেই এক ব্যক্তি গুনগুনের কিছু ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন। গুনগুন বিষয়টি বাড়িতে জানিয়েও ছিলেন। গুনগুনের বাবার দাবি, পরিবারে এমন কোনও সমস্যা ছিল না, যার কারণে তার মেয়ে এত বড় পদক্ষেপ করবে। যা ঘটার, তা হোটেলেই ঘটেছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, উদয়পুরের হোটেলে গুনগুনের সঙ্গে কিছু ঘটনা ঘটে। সে কথা বাবাকে জানিয়েছিলেনও তিনি। পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ এনেছে। সুত্র: আনন্দবাজার।

পাঠকের মন্তব্য:

Check Also

হরিণ শি,কার করতে এসে বেকায়,দায় পড়ল চি,তা, হরি,ণের লম্বা শিং-য়ের গু’তো’য় প’রা’স্থ হল বা’ঘ তুমুল ভাইরাল ভিডিও।

দ্রুতগামী এবং শক্তিশালী প্রাণীদের মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে চি,তা। চি,তা তার আকারের তুলনায় অনেক শক্তিশালী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *