মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

ইসলামিক নাম হলো এমন নাম যা ইসলাম ধর্মের সাথে সম্পর্কিত। ইসলামিক নামের অর্থ সুন্দর, মহৎ, পবিত্র, ধর্মীয়, ইত্যাদি। ইসলামিক নামের মাধ্যমে সন্তানের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যতের কামনা করা হয়।

যে কারণে মেয়েদের ইসলামিক নাম রাখা উচিত

ছেলেদের ইসলামিক নাম এর পাশাপাশি মেয়েদের ও সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ইসলামিক নাম রাখা উচিত, কারণ ইসলামে নামের গুরুত্ব অপরিসীম। নাম হলো একজন মানুষের পরিচয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। একজন মানুষকে তার নামের মাধ্যমেই সনাক্ত করা হয় এবং তার নামের অর্থের ভিত্তিতে তার সম্পর্কে ধারণা করা হয়। তাই, একজন মুসলিম হিসেবে মেয়েদের জন্য ইসলামিক নাম রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইসলামিক নাম রাখার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি কারণ হলো:

  • আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন: ইসলামে নাম রাখার ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তা’আলা বলেন, “তোমরা তোমাদের সন্তানদের উত্তম নাম রাখো।” (সূরা আহক্বাফ, আয়াত: ১২)। সুতরাং, মেয়েদের জন্য ইসলামিক নাম রাখার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
  • ইসলামের আদর্শের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন: ইসলামিক নাম রাখার মাধ্যমে ইসলামের আদর্শের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা সম্ভব। ইসলামে অনেক মহৎ গুণাবলী ও আদর্শের নাম রয়েছে। মেয়েদের জন্য ইসলামিক নাম রাখার মাধ্যমে তাদের মধ্যে এসব গুণাবলী ও আদর্শের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের প্রবণতা তৈরি করা সম্ভব।
  • সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখা: ইসলামে সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুন্দর নাম শুনতে ভালো লাগে এবং এর অর্থ মনের মধ্যে প্রশান্তি ও আনন্দের সৃষ্টি করে। মেয়েদের জন্য ইসলামিক নাম রাখার মাধ্যমে তাদের সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখা সম্ভব।

মেয়েদের জন্য নাম রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এটি একটি শিশুর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই, নাম রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।মেয়েদের জন্য ইসলামিক নাম রাখার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। যেমন:

  • নামটি যেন আল্লাহর গুণবাচক নামের সাথে সম্পর্কিত হয়। যেমন, আল্লাহ, রহমান, রহিম, মালিক, কুদ্দুস, সালাম, মুমিন, মুহসিন, আযিম, গাফুর, শাহিদ ইত্যাদি।
  • নামটি যেন নবীদের নামে হয়। যেমন, মুহাম্মদ, ইবরাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব, ইউসুফ, মোসা, হারুন, মূসা, দাউদ, সুলাইমান, আইয়ুব, ইউনুস, ইলিয়াস, ইয়াহইয়া, ঈসা ইত্যাদি।
  • নামটি যেন ইসলামের অন্যতম আদর্শ বা গুণাবলী প্রকাশ করে। যেমন, আহমদ, মাহমুদ, ফাতিহা, হুর, রিফাত, মাহফুজ, আলী, জামিলা, সারমিন, সুমাইয়া, তাসলিমা, ফারহানা, রুহানা ইত্যাদি।

মেয়েদের জন্য ইসলামিক নাম রাখার মাধ্যমে তাদের মধ্যে ইসলামের আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রতি আগ্রহ ও অনুরাগ তৈরি করা সম্ভব। এছাড়াও, এটি তাদের ব্যক্তিত্ব ও চরিত্র গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যেভাবে সুন্দর একটি মেয়েদের ইসলামিক নাম বেছে নিবেন

সুন্দর একটি মেয়েদের ইসলামিক নাম বেছে নেওয়ার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা যেতে পারে:

  • নামটি যেন সুন্দর ও অর্থবহ হয়। নামটি শুনতে ভালো লাগতে হবে এবং এর অর্থ মনের মধ্যে প্রশান্তি ও আনন্দের সৃষ্টি করতে হবে।
  • নামটি যেন ইসলামের আদর্শ ও মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। নামটি যেন ইসলামের শিক্ষা ও মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।
  • নামটি যেন খুব বেশি সাধারণ না হয়। নামটি যেন খুব বেশি কমন না হয়, যাতে শিশুর নামটি সহজেই মনে রাখা যায়।
  • নামটি যেন খুব বেশি বিরল না হয়। নামটি যেন খুব বেশি বিরল না হয়, যাতে শিশুর নামটি অন্যদের সাথে মিলিয়ে ফেলা যায় না।

এছাড়াও, নামটি যেন শিশুর ব্যক্তিত্ব ও চরিত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। যেমন, যদি শিশুটিকে শান্ত ও ভারসাম্যপূর্ণ হতে চাওয়া হয়, তাহলে নামটিও সেই অনুযায়ী হতে পারে।

মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

মেয়েদের ইসলামিক নামের মধ্যে কিছু জনপ্রিয় নাম হলো:

  • আরবি নাম:
    • আয়শা (আল্লাহর সন্তুষ্টি)
    • ফাতিমা (উৎফুল্লতা, আনন্দ)
    • জান্নাত (স্বর্গ)
    • মারিয়াম (ঈশ্বরের দাসী)
    • রাবেয়া (বৃদ্ধি)
    • সাফিয়া (পরিশুদ্ধ)
    • সুহাইলা (সহজ, সুখী)
    • তুবা (ফল)
    • হাজেরা (দূরবর্তী)
  • ফারসি নাম:
    • আফরিন (প্রশংসা)
    • আহনাফ (সৎ, নির্দোষ)
    • আলিয়া (উচ্চতা, শ্রেষ্ঠত্ব)
    • আম্বিয়া (নবীদের স্ত্রী)
    • আসিফা (বুদ্ধিমত্তা, প্রজ্ঞা)
    • ফাতিমা (উৎফুল্লতা, আনন্দ)
    • হামিদা (প্রশংসনীয়)
    • জোহরা (জ্যোতি, আলো)
    • জামিলা (সুন্দরী)
  • তুর্কি নাম:
    • আজমিন (অমর)
    • দিলরুবা (হৃদয়ের প্রেমিকা)
    • ফাহিমা (বুদ্ধিমত্তা, প্রজ্ঞা)
    • মেহরুবা (প্রিয়)
    • রুহানা (আত্মার আলো)
    • সারা (ভদ্রমহিলা, রাজকুমারী)
    • সুহাইলা (সহজ, সুখী)
    • তাজমুল (রত্ন)
    • হিফজা (কোরআন হিফজকারী)
  • বাংলা নাম:
    • আঁখি (চোখ)
    • চাঁদ (চন্দ্র)
    • নদী (নদী)
    • পাখি (পাখি)
    • সূর্য (সূর্য)
    • সুমি (সুন্দরী)
    • তনহা (একা)
    • ফারহানা (উৎফুল্ল)
    • হাসি (হাসি)

অ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম

অ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম

  • অমিয়া (أَمِيَة): অর্থ: “মায়ের মতো”।
  • অরিয়া (أَرِيَة): অর্থ: “উজ্জ্বল, দীপ্তিমান”।
  • অনিতা (أَنِيتَا): অর্থ: “অনিন্দ্যসুন্দরী”।
  • অনিকা (أَنِيكَا): অর্থ: “সুন্দর, মার্জিত”।
  • অঞ্জু (أَنْجُو): অর্থ: “নক্ষত্র”।
  • অঞ্জনা (أَنْجَنَى): অর্থ: “নক্ষত্রময়”।
  • অঞ্জলি (أَنْجَلِي): অর্থ: “প্রার্থনার হাত”।
  • অনিলা (أَنِيلَة): অর্থ: “বাতাস”।
  • অস্মিতা (أَسْمِيتَا): অর্থ: “অমরত্ব”।

অ দিয়ে কিছু আধুনিক মেয়েদের ইসলামিক নাম

  • অদিতি (أَدِيتِي): অর্থ: “দিগন্ত”।
  • অদিরা (أَدِيرَة): অর্থ: “সৌন্দর্য ও ঐশ্বর্যময়”।
  • অরুণা (أَرُونَة): অর্থ: “সূর্যোদয়”।
  • অভ্র (أَبْرِ): অর্থ: “মেঘ”।
  • অগ্নি (أَغْنِي): অর্থ: “আগুন”।
  • অনন্যা (أَنَنْيَة): অর্থ: “অনন্য, ব্যতিক্রমী”।
  • অনভিতা (أَنْبِيتَا): অর্থ: “অপরিচিত, অজানা”।
  • অর্ণব (أَرْنَبَ): অর্থ: “সমুদ্র”।

আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম

আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নামের মধ্যে রয়েছে:

  • আয়েশা (عائشة): নবীর স্ত্রী। অর্থ: “জীবিত, বেঁচে থাকা”।
  • আফিয়া (عفيفة): অর্থ: “সতী, নির্মল”।
  • আলিমা (عالمة): অর্থ: “জ্ঞানী, বিজ্ঞানী”।
  • আমেনা (آمنة): অর্থ: “নিরাপদ, ভরসাযোগ্য”।
  • আনিকা (أنيقة): অর্থ: “সুন্দর, মার্জিত”।
  • আসমা (أسماء): অর্থ: “নাম”।
  • আহনাফ (حنفاء): অর্থ: “সত্যবাদী, একনিষ্ঠ”।
  • আহরার (حرة): অর্থ: “স্বাধীন, মুক্ত”।
  • আহিয়া (حيا): অর্থ: “জীবিত, বেঁচে থাকা”।

এছাড়াও, কিছু আধুনিক আ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম রয়েছে। যেমন:

  • আদিরা (آذِرة): অর্থ: “সৌন্দর্য ও ঐশ্বর্যময়”।
  • আজরা (أجْرَة): অর্থ: “পুরস্কার, প্রতিদান”।
  • আজিমা (عظيمة): অর্থ: “মহান, মহৎ”।
  • আজিফা (عَزِيفة): অর্থ: “দৃঢ়প্রতীজ্ঞ, অবিচল”।
  • আজমা (أَجْمَعَة): অর্থ: “সম্পূর্ণ, সমগ্র”।
  • আজিফা (عَزِيفة): অর্থ: “দৃঢ়প্রতীজ্ঞ, অবিচল”।
  • আদিরা (آذِرة): অর্থ: “সৌন্দর্য ও ঐশ্বর্যময়”।
  • আজরা (أجْرَة): অর্থ: “পুরস্কার, প্রতিদান”।
  • আজিমা (عظيمة): অর্থ: “মহান, মহৎ”।

বাবা-মায়ের পছন্দ হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারা যে নামটি পছন্দ করে এবং যে নামটি শিশুর জন্য উপযুক্ত বলে মনে করে, সেই নামটিই রাখা উচিত।

ই-ঈ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম

বাংলায় ই দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নামের তালিকা নিম্নরূপ:

  • ইয়াসমিন: জুঁই ফুলের নাম।
  • ইরা: সুন্দরী, সুশোভিত।
  • ইফফাত: পবিত্রতা, নৈতিকতা।
  • ইসরাত: সৎপথ, সরল পথ।
  • ইজহার: প্রকাশ করা, ঘোষণা করা।
  • ইজমাঈল: আল্লাহর ইচ্ছা।
  • ইয়াসমিনা: জুঁই ফুলের নাম।
  • ইয়ামিমা: ইয়েমেন দেশ।
  • ইয়ুহানা: ঈসা (আঃ)-এর মায়ের নাম।
  • ইয়ুহান্না: ঈসা (আঃ)-এর মায়ের নাম।
  • ইয়ুহানাত: ঈসা (আঃ)-এর মায়ের নাম।
  • ইফফাত ওয়াসীমাত: সতী সুন্দরী
  • ইফফাত হাসিনা: সতী সুন্দরী
  • ঈফাত হাবীবা: সতী প্রিয়া
  • ইফফাত সানজিদা: সতী চিন্তাশীলা
  • ইসমাত বেগম: সতী-সাধবী মহিলা
  • ةইফফাত কারিমা: সতী দয়াবতী
  • ইফফাত তাইয়িবা: সতী পবিত্রা
  • ইয়াসমীন যারীন : সোনালী জেসমীন ফুল
  • ঈশরাত সালেহা: উত্তম আচরণ পুণ্যবতী

এই নামগুলোর অর্থ সুন্দর এবং ইসলামিক। এগুলো সন্তানের জন্য সুন্দর নাম হিসেবে নির্বাচন করা যেতে পারে।

উ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম

এখানে উ দিয়ে শুরু হওয়া কিছু জনপ্রিয় পাকিস্তানি মেয়েদের ইসলামিক নাম রয়েছে:

  • উম্মে (মা)
  • উম্মে হাবিবা (মুহাম্মদ (সাঃ)-এর স্ত্রী)
  • উম্মে সালামা (মুহাম্মদ (সাঃ)-এর স্ত্রী)
  • উম্মে কুলসুম (মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কন্যা)
  • উম্মে ফাতেমা (মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কন্যা)
  • উম্মে হানি (মুহাম্মদ (সাঃ)-এর চাচাতো বোন)
  • উম্মে সালমা (মুহাম্মদ (সাঃ)-এর স্ত্রী)
  • উম্মে আয়মান (মুহাম্মদ (সাঃ)-এর দাসী)

এই নামগুলি সাধারণত আল্লাহর গুণাবলী বা ইসলামিক ব্যক্তিত্বের নামে রাখা হয়। তারা প্রায়শই সুন্দর এবং অর্থপূর্ণ হয় এবং পাকিস্তানি সংস্কৃতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ঊ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম

বাংলা বর্ণমালায় “ঊ” দিয়ে শুরু হওয়া মেয়েদের ইসলামিক নামের সংখ্যা খুবই কম। তবে, কিছু নাম রয়েছে যা বেশ সুন্দর এবং অর্থপূর্ণ। এগুলো হল:

  • ঊমাইমা: নবীর স্ত্রী আয়শার ডাকনাম।
  • ঊম্মে হাবীবা: নবীর স্ত্রী।
  • ঊম্মে সালামা: নবীর স্ত্রী।
  • ঊম্মে সুলাইম: নবীর স্ত্রী।
  • ঊম্মে ফাতিমা: নবীর কন্যা।

আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো নাম বেছে নিতে পারেন।

র দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম

র দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নামের মধ্যে রয়েছে:

  • রাহমা (رحمة) – অর্থ “করুণা”, “দয়া”, “মমতা”
  • রানিয়া (رانيا) – অর্থ “রানী”, “রানীর মতো”
  • রাবিয়া (ربيعة) – অর্থ “চতুর্থ”, “বসন্তকাল”
  • রুকাইয়া (رقية) – অর্থ “উত্থান”, “উন্নত”
  • রিদা (رضا) – অর্থ “তৃপ্তি”, “সন্তুষ্টি”
  • রীম (ريم) – অর্থ “গজেল”
  • রাশা (راشا) – অর্থ “তরুণ গজেল” বা “হরিণ”
  • রায়ান (ريان) – অর্থ “পুষ্পে পূর্ণ” বা “বিলাসী”
  • রুখসার (رُخْصَة) – অর্থ “গাল” বা “মুখ”
  • রাওদা (روضة) – অর্থ “বাগান” বা “স্বর্গ”

এছাড়াও র দিয়ে আরও কিছু ইসলামিক নামের মধ্যে রয়েছে:

  • রওশানা (روشن) – অর্থ “উজ্জ্বল”, “প্রদীপ্ত”
  • রিহানা (ريحانة) – অর্থ “গোলাপ”, “সুগন্ধি ফুল”
  • রিশাদ (رشد) – অর্থ “উন্নতি”, “সাফল্য”
  • রুবাইয়া (ربايعة) – অর্থ “চতুর্থ”, “বসন্তকাল”
  • রুবাইয়াত (ربايعة) – অর্থ “চতুর্থ”, “বসন্তকাল”
  • রফিয়া (رفعة) – অর্থ “উচ্চতা”, “মর্যাদা”
  • রাফিদা (رافدة) – অর্থ “উচ্চতা”, “মর্যাদা”
  • রূহা (روح) – অর্থ “আত্মা”, “চিত্ত”
  • রূহী (روحية) – অর্থ “আত্মিক”, “চিত্তের”

স দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম

বাংলায় স দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নামের তালিকা নিম্নরূপ:

  • সাফিয়া (বিশুদ্ধ)
  • সামিরা (শ্রবণকারী)
  • সামিহা (শোনার যোগ্য)
  • সাওদা (কালো)
  • সায়মা (রোজা রাখিয়েছে এমন)
  • সালমা (নিরাপদে থাকা)
  • সামিয়া (উঁচুতে থাকা)
  • সাযিদা (সাজদাকারী)
  • সাজিনা (অলঙ্কার)
  • সজনা (অলঙ্কার)
  • সজুয়া (অলঙ্কার)
  • সুমনা (সুন্দর)
  • সুরাইয়া (সূর্য)
  • সুহাইলা (হাসিমুখী)
  • সুহানা (সৌন্দর্যময়)
  • সুলতানা (রানী)
  • সোহানা (প্রিয়তমা)
  • সোফিয়া (বিশুদ্ধ)
  • সোফিয়া (বিশুদ্ধ)
  • সোহাইরা (হাসিমুখী)
  • স্নেহা (স্নেহময়ী)
  • স্নিগ্ধা (নরম)
  • স্নিহা (স্নেহময়ী)

এই নামগুলোর অর্থ সুন্দর, পবিত্র, জ্ঞানী, মহৎ, ধার্মিক, শান্তিপূর্ণ, ইত্যাদি। এগুলো আপনার মেয়ের জন্য একটি সুন্দর এবং অর্থবহ নাম হতে পারে।

ত দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম

বাংলায় ত দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নামের তালিকা নিম্নরূপ:

  • তাবিয়া (অনুগত)
  • তাবাসসুম (হাসি)
  • তাসনিয়া (প্রশংসিত)
  • তাহসীনা (উত্তম)
  • তাহিয়্যাহ (শুভেচ্ছা)
  • তোহফা (উপহার)
  • তাখমীনা (অনুমান)
  • তাযকিরা (স্মরণ)
  • তাযকিয়া (পবিত্রতা)
  • তারান্নুম (গুঞ্জন)
  • তাসলীমা (সম্পন্ন)
  • তাসমিয়া (নামকরণ)
  • তাসনীম (বেহেশতের ঝর্ণা)
  • তাসফিয়া (পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা)
  • তাসকীনা (স্থিরতা, সান্ত্বনা)
  • তাসমীম (দৃঢ়তা)
  • তাশবীহ (উপমা, দৃষ্টান্ত)
  • তাকিয়া (শুদ্ধ চরিত্র)
  • তাকমিলা (পরিপূর্ণ)
  • তামকীন (প্রতিষ্ঠা)
  • তামান্না (আশা-আকাঙ্ক্ষা)
  • তামজীদা (মহিমা কীর্তন)
  • তাহযীব (সভ্যতা)
  • তানভীর (জ্যোতি, আলো)
  • তাওকীর (সম্মান জ্ঞাপন)
  • তাওবা (অনুতাপ, অনুশোচনা করা)
  • তাফান্নুম (আনন্দ)
  • তাকী (খোদাভীরু মহিলা)
  • তানজীম (সুবিন্যস্ত)
  • তালিবা (প্রত্যাশী, অনুসন্ধানী)
  • তায়েরা (বিমান, উড্ডয়নকারী)
  • তাউস (ময়ূর)
  • তাহিরা (পবিত্র)
  • তবিয়া (প্রকৃতি)
  • তালিয়া (অগ্রগামী সেনাদল, উদীয়মান)
  • তালাত (অবয়ব, বহির্দশ্য)
  • তরীকা (রীতি-নীতি)
  • তূবা (সুসংবাদ)
  • তাইয়্যিবা (পবিত্র)
  • তহুরা (পবিত্রা)
  • তবীবা (ডাক্তার, হেকীম)
  • তুরফা (বিরল বস্তু)
  • তাহামিনা (মূল্যবান)

এই নামগুলোর অর্থ সুন্দর, পবিত্র, জ্ঞানী, মহৎ, ধার্মিক, শান্তিপূর্ণ, ইত্যাদি। এগুলো আপনার মেয়ের জন্য একটি সুন্দর এবং অর্থবহ নাম হতে পারে।

ন দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম

বাংলায় ন দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নামের তালিকা নিম্নরূপ:

  • নূর (আলো)
  • নাহলা (ঝর্ণা)
  • নূরানী (আলোর মতো)
  • নূরজাহান (আলোর রানী)
  • নূরছাপা (আলোর ছাপ)
  • নূরানীন (অনেক আলো)
  • নূরিন (আলোর মতো)
  • নাফিসা (সুন্দরী, মহৎ)
  • নজরীন (সুন্দরী)
  • নজরিয়া (যে দেখতে সুন্দর)
  • নাজমা (তারা)
  • নাজিমা (সুন্দর, সুশৃঙ্খল)
  • নাসিমা (বাতাসের ঝাপটা)
  • নার্গিস (শাহবাগ)
  • নাসরিন (সহায়ক)
  • নাসিরা (সাহায্যকারী)
  • নাজিয়া (মহিলা রাজা)

জ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম

দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নামের তালিকা:

এক শব্দের নাম

  • জান্নাত (জান্নাত)
  • জাহরা (উজ্জ্বল, দীপ্তিমান)
  • জামিলা (সুন্দরী)
  • জোহরা (জ্যোতির্ময়ী)
  • জয়নাব (উৎকৃষ্ট, উত্তম)
  • জারিন (সুন্দর, মনোহর)
  • জারিয়া (অতিথি)
  • জাসমিন (ইউরোপীয় ফুলের নাম)
  • জাহানারা (বিশ্বের আলো)

দুই শব্দের নাম

  • জান্নাতুল ফেরদৌস (জান্নাতের সবচেয়ে উচ্চতম স্থান)
  • জান্নাতুল মাওয়া (জান্নাতের সুগন্ধি)
  • জাহানারা বেগম (বিশ্বের আলোর রমণী)
  • জাহানারা খাতুন (বিশ্বের আলোর নারী)
  • জান্নাতুল বাকি (জান্নাতের স্থায়ী বসবাস)
  • জান্নাতুল আরা (জান্নাতের সুন্দরী)
  • জান্নাতুল নাঈম (জান্নাতের সুখী স্থান)

শ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম

শ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নামের তালিকা:

এক শব্দের নাম

  • শাহানা (রাণী)
  • শারমিন (সংকোচিত, লজ্জাশীল)
  • শামীমা (উজ্জ্বল, দীপ্তিমান)
  • শারমিন (সৌন্দর্যময়)
  • শাহনাজ (রাণীর মতো সুন্দরী)
  • শারমিন (নরম, কোমল)
  • শাহানারা (রাণীর মতো আলো)
  • শাহানা আক্তার (রাণীর মতো সম্মানিত)
  • শারমিন বেগম (সৌন্দর্যময় রমণী)
  • শামীমা খানম (উজ্জ্বল রমণী)
  • শারমিন সুলতানা (সৌন্দর্যময় রাজকন্যা)
  • শাহনাজ পারভীন (রাণীর মতো সুন্দরী রমণী)
  • শারমিন জেরিন (সৌন্দর্যময় মনোহর)

অন্যান্য

  • শাকিলা (সুন্দরী)
  • শাহিনা (রাণীর মতো)
  • শারমিনী (সৌন্দর্যময়ী)
  • শবনম (রাতের ফুল)

নাম নির্বাচনের নিয়ম

ইসলাম ধর্মে সন্তানদের নাম রাখার সময় কিছু নিয়ম মেনে চলা হয়। এ নিয়মগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

  • নামের অর্থ ভাল হতে হবে।
  • নামটি পবিত্র কোরআন বা হাদিসে উল্লেখিত হতে হবে।
  • নামটি সহজ উচ্চারণযোগ্য হতে হবে।
  • নামটি অন্য কোন ধর্মের নামের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়া যাবে না।

উল্লেখিত নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার সন্তানের জন্য একটি সুন্দর ও অর্থবহ নাম নির্বাচন করতে পারবেন।

নাম নির্বাচনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা উচিত:

  • আল্লাহর নামের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নাম।
  • পশু-পাখি বা গাছের নাম।
  • মূর্তির নাম।
  • হিন্দু দেব-দেবীর নাম।
  • অন্যায় বা অশ্লীল অর্থবোধক নাম।

পাঠকের মন্তব্য:

Check Also

ছেলেদের ইসলামিক নাম

ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

ইসলামে শিশুর সুন্দর নাম রাখার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে, “কোন ব্যক্তির নাম যদি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *