কালোজিরা (Nigella sativa) একটি মাঝারি আকারের মৌসুমী গাছ, এর একবার ফুল ও একবার ফল হয়। কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নাম Nigella Sativa Linn। এর স্ত্রী, পুরুষ দুই ধরনের ফুল হয়। পাঁচটি পাপড়ি বিশিষ্ট নীলচে সাদা রঙের ফুল হয়ে থাকে কালোজিরার। যার কিনারায় একটা বাড়তি অংশ থাকে।
কালোজিরায় তিন-কোনা আকৃতির কালো রং এর বীজ হয়। ফল হয় গোলাকার এবং প্রতিটি ফলে ২০-২৫ টি বীজ থাকে। আয়ুর্বেদীয়, ইউনানী, কবিরাজী ও লোকজ চিকিৎসায় এটি ব্যাপক ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মশলা হিসাবে ও ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে কালোজিরা, এটি পাঁচ ফোড়নের একটি উপাদান।
Table of Contents
কালোজিরার পুষ্টি উপাদান
কালিজিরা (Nigella sativa) একটি পুষ্টিকর ও ঔষধি গুণসম্পন্ন বীজ। এটিতে প্রায় শতাধিক পুষ্টি ও উপকারী উপাদান রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম কালোজিরায় রয়েছে:
- প্রোটিন: ১৯.১ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট: ৩৬.৬ গ্রাম
- চর্বি: ৩৩.৩ গ্রাম
- আঁশ: ২২.২ গ্রাম
- ভিটামিন:
- ভিটামিন এ: ১৪০ আইইউ
- ভিটামিন বি১: ১.৬৯ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি২: ০.০৬ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি৩: ৪.৬০ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি৬: ০.৪৪ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি৯: ৬১০ মাইক্রোগ্রাম
- ভিটামিন সি: ১.৪ মিলিগ্রাম
- খনিজ পদার্থ:
- ক্যালসিয়াম: ১৫১ মিলিগ্রাম
- আয়রন: ৬৯ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম: ৩৫৪ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস: ৪৪৩ মিলিগ্রাম
- পটাসিয়াম: ৭০৫ মিলিগ্রাম
- সোডিয়াম: ৬ মিলিগ্রাম
- জিঙ্ক: ১.৫ মিলিগ্রাম
- সেলেনিয়াম: ২৩.৭ মাইক্রোগ্রাম
কালোজিরার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি হল:
- নাইজেলোন: এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
- থাইমোকিনোন: এটি একটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- থাইমোল: এটি একটি অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কালোজিরার উপকারিতা
কালোজিরা (Nigella sativa) একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ যা পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। এর বীজ থেকে তেল পাওয়া যায় যা রান্নার কাজে মশলা হিসেবে এবং ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
কালোজিরার উপকারিতা সমুহ নিম্নরূপ:
আরো পড়ুন ঃ মেথির উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
কালোজিরার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কালোজিরা নিয়মিত সেবনে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতা বাড়ে এবং ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করা হয়।
সর্দি-কাশি দূর করে
কালোজিরা একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সর্দি-কাশি দূর করতেও কালোজিরা বেশ কার্যকর। কালোজিরাতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান যা সর্দি-কাশির কারণ হিসেবে কাজ করা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে।
কালোজিরা দিয়ে সর্দি-কাশি দূর করার উপায়:
- কালোজিরা চা: কালোজিরা চা সর্দি-কাশি দূর করার একটি সহজ এবং কার্যকর উপায়। ১ কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ কালোজিরা বীজ দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। চা ঠান্ডা হলে মধু বা চিনি দিয়ে পান করুন।
- কালোজিরা তেল: কালোজিরা তেলও সর্দি-কাশি দূর করতে সাহায্য করতে পারে। ১-২ ফোঁটা কালোজিরা তেল হালকা গরম করে বুকে এবং গলায় মালিশ করুন।
- কালোজিরা ভর্তা: কালোজিরা ভর্তা খাওয়াও সর্দি-কাশি দূর করতে সাহায্য করতে পারে। ২-৩ চা চামচ কালোজিরা বীজ বেটে পেস্ট করে নিন। এই পেস্টে অল্প পরিমাণে মধু বা চিনি মিশিয়ে খান।
কালোজিরা দিয়ে সর্দি-কাশি দূর করার জন্য কিছু টিপস:
- কালোজিরা দিয়ে তৈরি খাবার বা পানীয় খাওয়ার সময় বা ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- কালোজিরা তেল ব্যবহারের আগে ত্বকে প্রলেপ দিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন কোনো সমস্যা হয় কিনা।
- কালোজিরা অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, পেট ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তাই সঠিক মাত্রায় কালোজিরা গ্রহণ করা উচিত।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
কালোজিরার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কালোজিরা নিয়মিত সেবনে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
কালোজিরার মধ্যে ইনসুলিন নিঃসরণের মাত্রা বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কালোজিরা নিয়মিত সেবনে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং অন্যান্য জটিলতা হওয়ার ঝুঁকি কমে।
ত্বকের সুস্থতা রক্ষা করে
কালোজিরার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিকে মেরামত করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে। কালোজিরা নিয়মিত সেবনে ব্রণ, ফুসকুড়ি, চুলকানি ইত্যাদি ত্বকের সমস্যা দূর হয় এবং ত্বকের বয়সজনিত পরিবর্তন ধীর হয়।
চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
কালোজিরার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। এসব উপাদান চুলের বৃদ্ধি ও ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। কালোজিরা নিয়মিত সেবনে চুলের খুশকি ও চুল পড়া রোধ হয় এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা বেশ কার্যকর হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, কালোজিরা বীজ বা তেল উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
কালোজিরার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানগুলি রক্তনালীগুলিকে শিথিল করতে এবং রক্ত প্রবাহকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের মধ্যে কালোজিরার তেল সেবনের ফলে সিস্টোলিক রক্তচাপ ১১% এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ১০% কমে যায়।
আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের মধ্যে কালোজিরার বীজ সেবনের ফলে সিস্টোলিক রক্তচাপ ১৩% এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ১০% কমে যায়।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে কালিজিরা
কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে কালিজিরা বেশ কার্যকর হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, কালোজিরা বীজ বা তেল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
কালোজিরার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানগুলি লিভারের কোলেস্টেরল উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি কোলেস্টেরলকে শোষণ কমাতে সাহায্য করে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগীদের মধ্যে কালোজিরার তেল সেবনের ফলে LDL (খারাপ) কোলেস্টেরল ১৪% এবং HDL (ভালো) কোলেস্টেরল ৭% বৃদ্ধি পায়।
আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগীদের মধ্যে কালোজিরার বীজ সেবনের ফলে LDL (খারাপ) কোলেস্টেরল ১০% এবং HDL (ভালো) কোলেস্টেরল ৫% বৃদ্ধি পায়।
কালোজিরা তেলের উপকারিতা
কালোজিরা তেল, যা কালোজিরার বীজ থেকে নিষ্কাশিত হয়, এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, এবং এটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
কালোজিরা তেলের কিছু নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য উপকারিতা হল:
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: কালোজিরা তেল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি এটি জীবাণু এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- হৃদরোগ প্রতিরোধ: কালোজিরা তেল হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ কমাতে, কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: কালোজিরা তেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধ: কালোজিরা তেল ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এটি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করে।
- ত্বকের স্বাস্থ্য: কালোজিরা তেল ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের প্রদাহ কমাতে, ব্রণ কমাতে এবং ত্বকের বয়সের লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- চুলের স্বাস্থ্য: কালোজিরা তেল চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এটি চুল পড়া কমাতে, চুলের বৃদ্ধি উন্নত করতে এবং চুলের জট কমাতে সাহায্য করে।
কালোজিরা তেল সাধারণত নিরাপদ বলে মনে করা হয়, তবে কিছু লোকের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা। যদি আপনি কালোজিরা তেল সেবন করার সময় কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করেন তবে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
কালোজিরা তেল বিভিন্ন উপায়ে সেবন করা যেতে পারে। এটি খাবার বা পানীয়ের সাথে মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে, বা এটি ক্যাপসুল বা তরল আকারে নেওয়া যেতে পারে।
আরো পড়ুন ঃ লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা খাওয়ার অপকারিতা
কালোজিরা খাওয়ার অনেক উপকারিতা থাকলে ও এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে।
কালোজিরার অপকারিতাগুলি হল:
- ত্বকের প্রদাহ: কালোজিরার কিছু উপাদান ত্বকের প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। এটি বিশেষ করে ত্বকের সংবেদনশীল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
- পাকস্থলীর সংকোচন: কালোজিরার কিছু উপাদান পাকস্থলীর সংকোচন সৃষ্টি করতে পারে। এটি বমিবমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- বুক জ্বালা: কালোজিরার কিছু উপাদান বুক জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। এটি বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
- অকাল গর্ভপাত: গর্ভবতী মহিলাদের কালোজিরার তেল বা বীজ সেবন করলে অকাল গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
কালোজিরার অপকারিতাগুলি এড়াতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখা উচিত:
- কালোজিরার বীজ বা তেল অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করা উচিত নয়।
- কালোজিরার বীজ বা তেল সেবনের আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- গর্ভবতী মহিলাদের কালোজিরার বীজ বা তেল সেবন করা উচিত নয়।
কালোজিরার বীজ বা তেল সেবনের পর যদি কোনো অপ্রত্যাশিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তবে তাৎক্ষণিকভাবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
কালোজিরা খাওয়ার অনেক উপায় আছে। আপনি এটি খালি পেটে, খাবারের সাথে, বা চা তৈরি করে খেতে পারেন।
কালোজিরা ভর্তা
কালোজিরা ভর্তা খুবই সহজ এবং সুস্বাদু একটি খাবার। এটি তৈরি করতে, প্রথমে কালোজিরা ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর, এটি একটি মিক্সিতে বা ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালো করে পিষে নিন। এরপর, এতে স্বাদমতো লবণ, মরিচ, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, এবং ধনেপাতা যোগ করুন। সবকিছু ভালো করে মিশিয়ে নিন।
কালোজিরা তেল
কালোজিরা তেলও অনেক উপকারী। এটি খালি পেটে, খাবারের সাথে, বা চা তৈরি করে খেতে পারেন।
কালোজিরা চা
কালোজিরা চা তৈরি করতে, প্রথমে কালোজিরা ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর, এটি একটি পাত্রে নিয়ে তাতে গরম পানি ঢেলে দিন। ১০-১৫ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। তারপর, চা ছেঁকে নিন। স্বাদমতো মধু বা চিনি যোগ করে পান করুন।
কালোজিরা খাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
- কালোজিরা খাওয়ার আগে এটি ভালো করে ধুয়ে নিন।
- কালোজিরা কিছু লোকের মধ্যে অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনার অ্যালার্জি থাকে, তাহলে কালোজিরা খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের কালোজিরা খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- কালোজিরা গ্যাস, বমি বমি ভাব, এবং মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। যদি এই ধরনের কোনও সমস্যা হয়, তাহলে কালোজিরা খাওয়া বন্ধ করুন এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত?
প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত তা নির্ভর করে আপনার বয়স, স্বাস্থ্য, এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর। সাধারণভাবে, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ১ থেকে ৩ চা চামচ কালোজিরা খাওয়া নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়। তবে, যদি আপনি কোনও নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য কালোজিরা খাচ্ছেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
কালোজিরার তেলও খাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিন ১ থেকে ২ চা চামচ কালোজিরা তেল খাওয়া নিরাপদ।
পাঠকের মন্তব্য: