সম্প্রতি সহ-সমন্বয়ক পরিচয়ে বাসের হেলপারকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মারধরের ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাসের হেলপারকে মারধর করছে এক তরুণ। এ সময় তিনি বলছেন- “আমাকে চিনিস, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সমন্বয়ক।” এক মিনিট ৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে পুরোটা সময়জুড়ে মারমুখী অবস্থায় ছিলেন সেই তরুণ।
জানা গেছে, সহ-সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া ওই তরুণের নাম তৌসিফ শাকিল। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-সমন্বয়ক নামে কখনোই কোনো পদ ছিল না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া একাধিক সমন্বয়ক। গত ২৯ জুলাই ২৭ সদস্য বিশিষ্ট যে সমন্বয়ক পরিষদ গঠন করা হয়, তাতেও নাম নেই এই শাকিলের।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নূর নবী বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনো সহ-সমন্বয়ক নামে কোনো পদ ছিল না। আমরা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করছি ছাত্রলীগের সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল, তারা ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাম করে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যতটুকু জানতে পেরেছি, বাসের হেলপারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা শাকিল আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এদের এখন একটাই লক্ষ্য, নানান মুখোশ পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারীদের বিতর্কিত করা। ছাত্রলীগের সকল ষড়যন্ত্রকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিহত করবে।”
জানা যায়, শাকিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরণ বাস কমিটির সভাপতির পদ ভাগিয়ে নেয় ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে। তবে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে শাকিলের অবস্থান থাকায় তাকে উত্তরণ বাস থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা।
পাঠকের মন্তব্য: