দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক পুলিশ বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে৷ গুটিকয়েক পুলিশ সদস্যের নীতিভ্রষ্টতার কারণে এমন অভি;যোগ পুরো পুলিশ বাহিনীর উপর এসে পড়ে৷ তবে এর পেছনে নাগরিক সমাজের ভূমিকাও কম দায়ী নয়।
নতুন খবর হচ্ছে, সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় বৃহস্পতিবারের ভ”য়া;বহ অ”গ্নিকা’ণ্ডের ধ্বং”সস্তূপ থেকে লা”শ উদ্ধার করে শুক্রবার বিকেলে ম;র্গে আনা হয়। ঢামেক ম;র্গে কোনো ধরনের বি;শৃঙ্খ;লা এড়াতে লা”শ নিয়ে আসার আগে থেকে দুই প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ম”রদে”হের সুরতহাল রিপোর্ট যেখানে করা হয় সেখানে কেউবা বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকও ছুটে আসেন।
চারদিকে আহাজারি, হৈচৈ ও হট্টগোল পরিবেশের মধ্যে বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে এ প্রতিবেদকের চোখ পড়ে ম”র্গের চৌহদ্দিতে সুরতহাল কক্ষের লম্বা বেঞ্চিতে বসে নামাজরত একজন পুলিশ সদস্যদের দিকে।
৩০ জন পুলিশ সদস্য সেখানে বসে থাকলেও কারও মুখে কোনো কথা নেই, সবাই চুপচাপ বসে আছে। নামাজ শেষ করেই ওই পুলিশ সদস্য মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা কারও কাছে রূপগঞ্জের ঘটনার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলেন ও কিছু দিকনির্দেশনা দিলেন।
একটু ভালো করে খেয়াল করতেই তার পোশাক ও র্যাংক ব্যাচ দেখে বোঝা গেল তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদমর্যাদার (ওসি)। একটু সামনে গিয়ে এ প্রতিবেদক নিজের পরিচয় দিয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলেন।
এহেন পরিস্থিতিতেও নামাজরত অবস্থায় তাকে দেখে ভালো লাগলো এ কথা বলতেই তিনি কিছুটা ‘বিব্রত’ হলেন। জানালেন তিনি রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত), নাম হুমায়ুন আহমেদ। অ”গ্নিকা”ণ্ডের কারণে গতকাল থেকে ব্যস্ত সময় কা;টা;চ্ছেন।
আলাপকালে তিনি জানান, পুলিশের চাকরি করি, কখন কোথায় যাই তার কোনো ঠিক ঠিকানা নাই। সব সময় ব্যস্ত থাকতে হয় বলে বাসায় গিয়ে নামাজ পড়ার সময় হয় না। তাই ডিউটিরত কিংবা অন্যকোনো কাজে যেখানেই থাকেন না কেন, ওয়াক্ত হলে সেখানেই নামাজ পড়ে নেন। ১৭ বছরে এক ওয়াক্তও নামাজ বাদ দেননি তিনি।
পাঠকের মন্তব্য: