




সামছুল হক কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা। নিজে স্ত্রী নিয়ে থাকেন পাঁচতলা ভবনের তিন তলায়, বাবা থাকেন ভবনের ছাদের ওপর একটি টিনের ঘরে দুর্গন্ধ যুক্ত মুরগীর খামারে। এমনই এক মানবেতর জীবনযাপন করছেন কুমিল্লা লাকসাম পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে কলেজে রোড ও পশ্চিমগাও পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা ইয়াকুব আলী (৮০)।
একসময় যে পিতা তার ছেলেকে কোলে-পিঠে নিয়ে বড় করেছিলেন, আজ তিনি নিজেই উপেক্ষিত। এমন কষ্টের দৃশ্য সন্তানদের চোখে না পড়লেও এলাকার মানুষ ঠিকই উপলব্ধি করতে পারেন। রবিবার ২০ নভেম্বর বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্যই দেখা যায়।
খোজঁ নিয়ে জানা যায়, ইয়াকুব আলী (৮০) দীর্ঘ দিন যাবৎ অসুস্থ। এর কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে ইয়াকুব আলীকে তার ছেলে-ছেলের বউ ছাদের ওপর একটি টিনের ঘরে দুর্গন্ধ যুক্ত জায়গায় থাকতে দিয়েছেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বুকভরা কষ্টগুলো চিৎকার করে বলতে চাইলেও বয়সের ভারে বন্ধ হয়ে গেছে তার আওয়াজ। শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে আছেন তিনি।





বৃদ্ধের ছেলে বৌ শাহিদা আক্তার গণমাধ্যমে বলেন, শ্বশুর দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ। শ্বশুরের মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দেওয়ার পর থেকে সার্বক্ষণিক ওষুধ ও দেখভাল করেন তিনি। কত দিন ধরে ছাদে রাখা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১-২ মাস ধরে বাবাকে রাখা হয়েছে। এর আগে আমাদের রুমে থাকতেন তিনি। তা ছাড়া তাঁকে ঘরের মধ্যে রাখা যায় না, মাথায় সমস্যার কারণে সব কিছু ওলট-পালট করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা মতিন বলেন, বৃদ্ধ বাবাকে এখান থেকে তাদের বাসায় নিয়ে আসার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। যদি তারা দায়িত্ব পালন না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মন্তব্য: