ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ষাঁড় গরু ‘ধলাবাবু’র ওজন ৩৬ মণ। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ষাঁড়টি প্রস্তুত করা হয়েছে। বিক্রির জন্য এর দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।
স্বাভাবিক সুষম খাবার খেয়েই বেড়ে উঠেছে সাদা-কালো ডোরাকাটা রঙের ফ্রিজিয়ান জাতের সুঠামদেহী ধলাবাবু। তাকে আশানুরূপ দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন খামারি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. এনামুল কায়েম।
বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের চন্দনী গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলার খরসূতি চন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. এনামুল কায়েমের খামারে রয়েছে এ ষাঁড় গরুটি। তার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম আদর করে নাম রেখেছেন ‘ধলাবাবু’। এ নামে ডাক দিলেই সাড়া দেয় শান্ত স্বভাবের ষাঁড়টি। ঝর্ণা বেগম তিন বছর ধরে লালনপালন করছেন ধলাবাবুকে।
বিশাল দেহের ষাঁড়টি দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন অনেকে। এরই মধ্যে খামারেই দাম উঠেছে ১২ লাখ টাকা। তবে এ দামে সন্তুষ্ট নন এনামুল কায়েম।
এনামুল কায়েম জানান, সাড়ে তিন বছর আগে যশোর থেকে গর্ভাবস্থায় তিনি ধলাবাবুর মাকে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় কিনে আনেন। কয়েক মাসের মাথায় ধলাবাবু জন্ম নেয়। সেটিকে খুব যত্ন করে লালনপালন করেন তার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম।
ধলাবাবু লম্বায় ৮ ফুট আর উচ্চতা ৬ ফুট। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের এক চিকিৎসকের সহায়তায় ফিতা দিয়ে দৈর্ঘ্য ও ব্যসার্ধ মেপে ওজন নির্ণয়ের সূত্রে ধারণা করা হচ্ছে ধলাবাবুর ওজন হবে অন্তত ৩৬ মণ। এবারের কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। তবে, হাটে নিয়ে নয়, বাড়ি থেকেই বিক্রির আশা করছেন এর মালিক এনামুল কায়েম।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এনামুল কায়েম বলেন, ধলাবাবুকে লালনপালনে মোটাতাজা করতে তিনি কোনো মেডিসিন বা ইনজেকশন ব্যবহার করেননি। তিনবেলা সুষম খাবার দিয়েছেন। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকা খরচ হয় তার পেছনে। কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি, খৈল, ধানের কুড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে তিনবেলা খাওয়ানো হয় ধলাবাবুকে।