




হাসপাতালের টয়লেটে সন্তান জন্ম দেয় কুমারী মা। জন্মের পরই নবজাতককে হত্যা করেন মা ও মেয়ে (কুমারী মা)। অবশেষে নবজাতক শিশু হত্যা মামলায় মা-মেয়েকে গ্রেফতার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ।
রোববার দিনভর অভিযান চালিয়ে উপজেলার বেকড়া ইউনিয়ন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে নাগরপুর থানায় শিশু হত্যা মামলা রুজু করে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।





এ বিষয়ে নাগরপুর থানার ওসি সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ড্রেন থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধারের পর কুমারী মাসহ তার পরিবারের লোকজনদের নবজাতক শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মা-মেয়ে (কুমারী মা) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করায় তাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেকড়া ইউনিয়নের কুমারী মেয়ে (১৮) শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় দিকে পেট ব্যথা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। ভোরে ওই মেয়ে ও তার মা কমপ্লেক্সের টয়লেটে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। এ সময় হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীরা টয়লেটে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। প্রায় দুই ঘণ্টা পর মা ও মেয়ে বের হয়ে সিটে আসেন। রোববার সকালে ডাক্তার নিয়মিত রোগী পরিদর্শন শেষে ওই মেয়েকে ছাড়পত্র দেন ডা. কাজল পোদ্দার।





এরপর রোববার সকাল ৯টার দিকে দুজন পথশিশু হাসপাতালের ড্রেনে নবজাতক শিশুটি দেখে লোকজন ডাকে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে নাগরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে।
পাঠকের মন্তব্য: