




নতুন করে আলোচনায় চিত্রনায়িকা মুনমুন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জায়েদ খানকে ঘিরে বিতর্কে জড়ানো হয়েছে তাকে। দাবি করা হয়েছে, জায়েদ খানের কাছ থেকে ভোট দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন নায়িকা মুনমুন। কিন্তু সেই দাবিকে অস্বীকার করে ফেসবুকে পোস্ট লিখেছেন এই নায়িকা। একইসঙ্গে মুনমুনের দাবি, তার অভিনীত সিনেমা শত কোটি টাকা আয় করেছে।
রবিবার রাতে তিনি লিখেছেন, ‘আমাকে ভোট বিক্রেতা বানানো মানে পুরো শিল্পী সমিতির ভোটারদের কলঙ্কের মাঝে ফেলা, ভোট বেচা-কেনা কী জিনিস সেটা আমরা নিরীহ শিল্পীরা কি আর বুঝি? বোঝেন আপনারাই, আবার ইলেকশন হোক সেটা নিয়ে আর আমাদের কোন সমস্যা নেই, কিন্তু আমাকে পুরো দেশের সামনে যারা হেয় প্রতিপন্ন করেছে তাদের আর কোনোদিন ভোট দেবো না।’ অতীতের প্রসঙ্গ টেনে মুনমুন লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্রে আমি অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছি। হয়তো কিছু নাম বদনাম কামিয়েছি। এফডিসিকে অর্জন করিয়ে দিয়েছি ১০০ কোটিরও বেশি টাকা।’





তিনি আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে নির্বাচন করেছিলাম শিল্পী সমিতিতে, বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছিলাম। আমরা কেউ ভোট কেনা বা বিক্রি করে কোন দিন শুনিনি। এই গর্বিত সমিতিকে যারা বদনাম দিয়ে শিল্পীদের উলঙ্গ করে জনসম্মুখে, তারা কোনোদিন বাংলা সিনেমার ভালো করতে পারে না। জায়েদ খানকে কেন্দ্র করে আমাকে যেই অপমান করা হলো তার বিচার আমি সৃষ্টিকর্তার কাছেই দিলাম।’
ঘটনার সূত্রপাত হয় ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন। এ দিন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ‘টাকা দিয়ে ভোট কিনছে জায়েদ’ শিরোনামের ভিডিওতে দেখা যায় অভিনেত্রী মুনমুনের হাতে একটি কাগজ ধরিয়ে দিচ্ছেন জায়েদ খান। দুজন অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেন। এমন সময় মুনমুনের কানে কানে কিছু একটা বলেন। আর মুনমুনও হাতের ব্যাগ খুলে ভেতরে কিছু একটা রাখেন। এই ভিডিও দেখে অনেকেই নির্বাচনের দিন অভিনেত্রী নিপুণের আনা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন বলে জানান। এ নিয়ে পরে লাইভে আসেন ‘রানি কেন ডাকাত’ সিনেমার নায়িকা।
পাঠকের মন্তব্য: