




শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে চায় সরকার, এটি করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ রবিবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে করোনা টিকা এবং করোনা পরিস্থিতি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় রয়েছে। সে সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এরই মধ্যে আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা-পর্যালোচনা করে স্কুল খোলা না বন্ধ, বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।’





স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে আমরা ১২ বছরের ওপরে সবাইকে টিকা দেবো। পূর্বে শুধু স্কুল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই বয়সসীমা ছিল, এখন শিক্ষার্থী ছাড়াও বাকি সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। ১২ বছরের ঊর্ধ্বে মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এখন টিকা পাবে। শিশুদের টিকা প্রয়োগ পদ্ধতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, টিকা কার্যক্রম বর্তমানে যেভাবে চলছে, সে পদ্ধতিতেই ১২ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রে গেলেই টিকা পাবে। যদি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারে, তাহলেই আমরা টিকা দেব। কিছু দেখাতে না পারলেও আমরা তাদের ফেরত দেব না।
বিভিন্ন দেশেই টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছর করা হয়েছে, বাংলাদেশেও এমন কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছর করার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে আমাদের আলাপ হয়েছে। তারা পর্যালোচনা করে আমাদের জানাবে বলে জানিয়েছে। তাদের থেকে আমরা বার্তা পেলেই টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছরে নামিয়ে আনা হবে।





উল্লেখ্য, সরকার করোনা সংক্রমণ রোধে চলতি মাসের ১৩ তারিখ ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে ২১ জানুয়ারি থেকে পাঁচটি বিধিনিষেধ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেদিন থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পাঠকের মন্তব্য: