




নরসিংদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়ির ভেতরে ঢুকে মানসুরা আক্তার ইতি (২৩) নামের এক গৃহবধূকে গলা;কে;টে হ;ত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে পৌর শহরের সাঠিরপাড়া এলাকার সাত্তার ভিলায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সন্ধায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মানসুরা আক্তার ইতি পাঁচদোনা এলাকার মজিবুর রহমানের মেয়ে। তার স্বামী মসিউর রহমান হিমেল সাটিরপাড়া কে কে ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।





নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় ৫ বছর আগে প্রভাষক মসিউর রহমানের সাথে পাঁচদোনা এলাকার মানসুরা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের কোলজুড়ে জান্নাতুল নামে ৪ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। প্রতি শুক্রবার সকালে স্বামী হিমেল বেলাবো উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের ইব্রাহীমপুরে তার গ্রামের বাড়িতে যায়।
আজও গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দুপুরে দেড়টার দিকে স্ত্রী মানসুরাকে মোবাইলে ফোন দেন হিমেল। একাধিকবার ফোন দিলেও স্ত্রী ফোন ধরে না। পরে হিমেল বিষয়টি তার শ্বশুরকে জানায় এবং তার বাড়িতে পাঠায়। সেখানে গিয়ে মেয়ের গলা;কা;টা লা;শ পড়ে থাকতে দেখেন বাবা এবং নাতিকে ঘরের বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। পরে স্বজন ও পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ গিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসাপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে নৃশংস এই হ;ত্যা;কাণ্ডের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।





নিহতের ভাই সবুজ বলেন, দুপুর ১টার দিকে বোনকে ফোন দিয়েছিলাম। তখন সে ফোন ধরেনি। ফোন ধরেছে ভাগ্নি। বোনকে দিতে বলার পর ভাগ্নি বলল মা ঘর মুছছে। এখন দেয়া যাবে না। পরে ফোন কেটে দেই। বিকেলে জানতে পারি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কী কারণে এই হ;ত্যা;কাণ্ড তা এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্ত চলছে, অচিরেই সবকিছু খোলাসা করা সম্ভব হবে।
পাঠকের মন্তব্য: