




মেঘলা আক্তার ইতি। পড়তেন দশম শ্রেণিতে। আর এ বয়সেই তাকে যেতে হলো স্বামীর সংসারে। কিন্তু বিয়ের চার মাস না যেতেই জীবনের ইতি ঘটল মেঘলার। ১৮ বছরের এ তরুণী আত্ম হ;ত্যা; করেছেন বলে প্রচার করছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তবে বোনের আত্ম হ;ত্যা; মানতে নারাজ মেঘলার ভাই।
মেঘলার বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামে। তার বাবার নাম রুহুল আমিন। তিনি আগৈলঝাড়ার ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। মেঘলার স্বামী শিহাব হোসেন পাইক একই উপজেলার যবসেন গ্রামের জাহাঙ্গীর পাইকের ছেলে ও সরকারি শহিদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।





মেঘলার ভাই নয়ন সরদার জানান, যৌতুক না পেয়ে তার বোনকে হ;ত্যা; করা হয়েছে। এ অভিযোগে মামলাও করেছেন তিনি। মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে শুনানির জন্য রেখেছে আদালত।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, চার মাস আগে মেঘলার সঙ্গে শিহাবের বিয়ে হয়। এর আগে তারা দুজনে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শিহাবকে বিদেশ পাঠাতে মেঘলাকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে চাপ দেন শ্বশুর জাহাঙ্গীর হোসেন পাইক ও শাশুড়ি ময়না বেগম। এ নিয়ে নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতনের কথা বাবার পরিবারকে ফোনে জানাতেন মেঘলা।





এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে মেঘলাকে মারধর করেন শিহাব ও তার মা-বাবা। একপর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হ;ত্যা; করেন তারা। যদিও বাইরে তারা প্রচার করেছেন মেঘলা আত্ম হ;ত্যা; করেছেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, শিহাবের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশের ওপর প্রভাব বিস্তার করে এজাহারে মেঘলা আত্ম হ;ত্যা; করেছেন মর্মে মামলা নেয়া হয়েছে। সেখানে প্ররোচনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে স্বামী শিহাবকে।





নয়ন সরদার বলেন, আমার বোন আত্ম হ;ত্যা; করতে পারে না। সে প্রেম করে বিয়ে করেছে। তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা মেঘলার লাশ ঝু;ল;ন্ত অবস্থায় পাইনি। গিয়ে দেখি তার লাশ নিচে পড়ে রয়েছে। এটা হ;ত্যা;কাণ্ড। আমরা এ হ;ত্যা;কাণ্ডের বিচার চাই।
থানায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর আলম জানান, আত্ম হ;ত্যা;র প্ররোচনা মামলায় স্বামী শিহাব কারাগারে রয়েছেন। পরবর্তী কার্যক্রম আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলবে।
পাঠকের মন্তব্য: