অর্থের অভাব মেটাতে শরীরের কিডনি বিক্রি করছেন আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ। কাজ হারিয়ে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়া আফগানরা দু’বেলা দু’মুঠো খাবার যোগাতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কিডনি। ৪ থেকে ৮ হাজার ডলারে বিক্রি হচ্ছে একেকটি কিডনি।
ইউরোনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, হেরাতের গোলাম হযরত নামের এক বাসিন্দা দারিদ্রের কারণে ৪ সন্তানের এই জনক বাধ্য হয়েছেন নিজের কিডনি বিক্রি করতে। তিনি বলেন, আমার পক্ষে রাস্তায় বের হয়ে ভিক্ষা করা সম্ভব না। কিন্তু আবার এদিকে ঘরে খাবারও নেই। তাই কি করবো। বাধ্য হয়েই নিজের কিডনি বিক্রি করেছি যাতে সন্তানদের মুখে অন্তত দু’বেলা খাবার তুলে দিতে পারি।
আফগানরা পাগলের মতো হন্য হয়ে চাকরি খুঁজছে। কিন্তু তারা কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে ঘরের আসবাব বিক্রি করছে, শরীরের অঙ্গ বিক্রি করছে। কেউতো আবার বাধ্য হয়ে বিক্রি করছে নিজের সন্তানকেই।
একদিকে পশ্চিমা সহায়তা আসা বন্ধ, অন্যদিকে বিভিন্ন ব্যাংকে আটকে দেয়া হয়েছে আফগানিস্তানের রিজার্ভের অর্থ। ফলে চরম অর্থনৈতিক সংকটে দেশটির বাসিন্দারা। ফলে বাধ্য হয়েই তারা বিক্রি করছেন নিজেদের কিডনি।
আফগান চিকিৎসক নাসির আহমেদ বলেন, যারা কিডনি বিক্রি করছেন এদের নিরানব্বই শতাংশই দারিদ্রের কারণে এই পথে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। বাকি মাত্র ১ শতাংশ নিজেদের স্বজনদের সহায়তার জন্য কিডনি দান করছেন।
আহমেদ শেকিব নামে এক চিকিৎসক বলেন, অর্থনৈতিক কারণে যারা কিডনি বিক্রি করছেন তাদের অধিকাংশই ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকটে পড়বেন। কারণ অর্থাভাবে খাদ্য সংকটের কারণে এমনিতেই তারা ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার হয়েছেন। তারওপর একটি কিডনি না থাকায় তাদের নানা রকম শারীরিক জটিলতা দেখা দেবে।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে এরইমধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার অর্থসহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
পাঠকের মন্তব্য: