রাতে বান্ধবীর মেসে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র, অতঃপর…

রাতে বান্ধবীর মেসে জন্মদিনের কেক নিয়ে হাজির হন বন্ধু। তবে একাই যান বান্ধবীর কক্ষে। দুজনই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের শিক্ষার্থী। কিন্তু সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। ওত পেতে বসে থাকে তারা। এক পর্যায়ে মেসের একটি কক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় তাদের দেখে বলে দাবি করে স্থানীয়রা। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই মেসের ছাদ থেকে লাফ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্র। তবে পড়েন গিয়ে আরেক ছাত্রী মেসের ছাদে। এবার ওই মেসের শিক্ষার্থীরা রাতে মেসে ছাত্র দেখে চিৎকার দিতে শুরু করেন। এতে ওই রাতেই সেখানে জড়ো হয় স্থানীয়রা।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এমন ঘটনা ঘটেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন একটি ছাত্রী মেসে। ওই দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি বিভাগের শিক্ষার্থী।

স্থানীয়দের হাতে আটকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা, মেস মালিক ও ছাত্রলীগের দুই নেতার মাধ্যমে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

অভিযুক্ত ছাত্রের দাবি, তিনি বান্ধবীর জন্য জন্মদিনের কেক নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। ওই মেসে ছেলেদের প্রবেশ নিষেধ থাকার পরও কেন গেলেন, স্থানীয়দের এমন প্রশ্নে কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি। আটকের পর স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি ওই কক্ষে রাত্রী যাপন করতে গিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।

এদিকে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে বলে দাবি স্থানীয়দের। ছাত্রী মেসগুলো আরো ‘সিকিউর’ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তাদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমি সকালেই বিষয়টি জানলাম। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া একজন ছাত্র এভাবে রাতের বেলা মেয়েদের মেসে যাওয়াটা খুবই আপত্তিকর। এর দায়ভার তাকেই নিতে হবে। এর পরও আমরা মেস মালিকদের সঙ্গে কথা বলব, যাতে মেসগুলোতে একটু কঠোর নীতিমালা অবলম্বন করে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সন্ধ্যার পর থেকে প্রক্টরিয়াল বডির তদারকি আরো বৃদ্ধি করা হবে, যাতে সন্ধ্যার পর কোনো ছাত্রী হলের বাইরে অবস্থান করতে না পারে।’

পাঠকের মন্তব্য:

Check Also

হরিণ শি,কার করতে এসে বেকায়,দায় পড়ল চি,তা, হরি,ণের লম্বা শিং-য়ের গু’তো’য় প’রা’স্থ হল বা’ঘ তুমুল ভাইরাল ভিডিও।

দ্রুতগামী এবং শক্তিশালী প্রাণীদের মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে চি,তা। চি,তা তার আকারের তুলনায় অনেক শক্তিশালী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *