




ঢাকাই সিনেমার একটি গর্বিত অধ্যায়ের নাম শাবনূর। দেশের দর্শকের কাছে এখনো জনপ্রিয় এ নায়িকা। দর্শক এখনো তার সিনেমা মুক্তির অপেক্ষার প্রহর গোনেন। চিত্রনায়িকা শাবনূর অভিনয়ে নেই অনেক দিন। তবে এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। আজ বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রীর বোন ঝুমুর। তিনি বলেন, গত সপ্তাহ থেকে জ্বর ছিল। এরপর তার করোনা টেস্ট করালে করোনা পজিটিভ আসে। বাসায় আইসোলেটেড ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই আজ একটু সমস্যাবোধ করলে অ্যাম্বুলেন্স কল করে হাসপাতালে ভর্তি হন।
এদিকে গত ১৪ ডিসেম্বর ছিল শাবনূরের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে তার দেশে ফেরার কথা থাকলেও কোনো কারণে তিনি আসতে পারেননি। তবে জন্মদিন উপলক্ষে ভক্তদের জন্য নতুন একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন এই অভিনেত্রী। তার চ্যানেলের নাম ‘শাবনূর ইনাইয়া ড্রামা’। ১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর খ্যাতিমান নায়িকার জন্ম হয়েছিল যশোরের শার্শা উপজেলায়।





সে সময় পারিবারিক ভাবে শাবনূরের নাম রাখা হয় কাজী শারমিন নাহিদ নুপুর। এ নাম নিয়েই বেড়ে উঠেছেন। তবে চলচ্চিত্রে আসার পর স্বনামধন্য পরিচালক এহতেশাম তখনকার কাজী শারমিন নাহিদ নুপুরের নাম বদলে চলচ্চিত্রের জন্য নতুন নাম দেন শাবনূর। শাবনূর শব্দের অর্থ হচ্ছে রাতের আলো। পরবর্তীতে তিনি এ নামেই পরিচিতি, খ্যাতি সবই পেয়েছেন।
২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে ঘর বাঁধেন শাবনূর। তবে বনিবনা না হওয়ায় ২০২০ বছর ২৬ জানুয়ারি তাদের বিচ্ছেদ হয়। সবশেষ ২০১৫ সালে ‘পাগল মানুষ’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল শাবনূরকে। এরপর আর কোনো সিনেমায় উপস্থিত হননি দর্শকপ্রিয় এ তারকা। সিনেমা থেকে সাময়িক দূরত্ব তৈরি হলেও এ অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তায় একটুও ভাটা পড়েনি।





দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শাবনূর ১৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ভালোবেসে বউ আনবো’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘মহামিলন’, ‘তোমাকে চাই’, ‘পৃথিবী তোমার আমার’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘আমি তোমারি’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘নারীর মন’, ‘এ বাঁধন যাবে না ছিঁড়ে’, ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘এ মন চায় যে’, ‘ফুল নেবো না অশ্রু নেব’, ‘দিল তো পাগল’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘শ্বশুর বাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘ভালোবাসা কারে কয়’, ‘সুন্দরী বধু’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘নসিমন’, ‘ব্যাচেলর’, ‘ফুলের মত বউ’, ‘চার সতীনের ঘর’, ‘দুই নয়নের আলো’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘নিরন্তর, ‘আমার প্রাণের স্বামী’ ইত্যাদি।
পাঠকের মন্তব্য: