




সমুদ্রে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে এবারের শীতকাল অন্য সময়ের তুলনায় কিছুটা ব্যতিক্রমী হতে পারে। আর আবহাওয়ার এমন আকস্মিক পরিবর্তনের জন্য মানুষের নানা কর্মকাণ্ডকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট হওয়া দ্বিমেরু পরিস্থিতির কারণে বাতাসের ধাক্কায় উত্তপ্ত পানি বাংলাদেশ ও ভারত বঙ্গোপসাগর অংশে চলে এসেছে। যার কারণে সমুদ্রে বেড়েছে তাপমাত্রা।





আর বঙ্গোপসাগরের পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে একদিকে সাগরের পানি অস্বাভাবিকভাবে গরম হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় কমে আসবে শীত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইট ‘ইউনাইটেড স্ট্যাটাস এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি’ এর মতে, নগরায়ন, কল-কারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি, বন উজাড়, মোটর গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধিসহ মানুষের নানা কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে দিচ্ছে গ্রিন হাউস প্রভাব।





পরিবেশবিদরা বলছেন, অনেক বেশি নির্মাণ বেড়ে যাচ্ছে এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। এই প্রত্যেকটা খাত থেকে আসলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হচ্ছে যার কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে।
‘ইউনিসেফ বাংলাদেশ’ এবং ‘বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিস’ এর তথ্য মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের যেসব দেশ ক্ষক্তিগ্রস্ত হচ্ছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। উষ্ণায়নের ফলে বাড়ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা যার ফলে ঘটছে ভয়াবহ দুর্যোগ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।





এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশের খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য এবং কৃষি খাত সহ অবকাঠামোগত খাত। যার প্রভাব পরবে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায়।
এছাড়া জলবায়ুর এ পরিবর্তন আবহাওয়ার পাশাপাশি প্রভাব জীববৈচিত্রের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এখন থেকেই সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
পাঠকের মন্তব্য: