




কক্সবাজারে এসে ‘সংঘবদ্ধ ধ”র্ষ”ণের’ শিকার হওয়া নারী অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রে”ফতা”র হয়েছিলেন। সে সময় একটি মামলার আসামি হিসেবে কারাগারেও গিয়েছিলেন তিনি। তবে এর কিছু দিনের মধ্যে তিনি জামিনে ছাড়া পান।
পুলিশ জানায়, অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সে সময় বেআইনি ও অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫৪ জন নারী-পুরুষকে আটক করে পু”লিশ। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ওই নারীও ছিলেন। এরপর আটক হওয়া নারী পুরুষের বিরুদ্ধে ‘মানবপাচার, পতিতালয় পরিচালনা এবং পতিতাবৃত্তি ও সহায়তার’ অভিযোগ মামলা করা হয়। মামলায় ২৭ নম্বর আসামি হিসেবে ওই নারীর নাম উল্লেখ করা হয়।





তবে ওই নারীর দাবী, গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা থেকে কক্সবাজার স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বেড়াতে এসে গ”ণধ”র্ষ”ণের নারী শিকার হন। এমন অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ ও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলায় নাম উল্লেখ করা চার আসামি হলেন কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) সেলিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তাকে (ওই নারী) আটক করার পর মানবপাচার মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।’





মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আশিকসহ কয়েক জন ওই নারীর পূর্ব পরিচিত। অভিযোগকারী নারী তিন মাস ধরে কক্সবাজারে আছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
এ ঘটনায় জিয়া গেস্ট ইন হোটেল ম্যানেজার রিয়াজুদ্দিন ছোটনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রবিবার দুপুরে ট্যুরিস্ট পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়। এ নিয়ে মামলায় গ্রে”প্তা”র হলেন চারজন।
গ্রেফতাররা হলেন, আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম (২৫), মৃত মুক্তার আহমদের ছেলে মামুনুর রশীদ (২৮) এবং এর মৃত সালেহ আহমেদের ছেলে মেহেদী হাসান (২১)। তারা এজহারভুক্ত আসামী না হলেও ধ”র্ষ”ণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানিয়েছে পুলিশ।





এদিকে ওই নারীর দাবী, বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে এসে শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে ওঠেন। পরে বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগে। এ সময় এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর প”র্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে ভুক্তভোগী নারীর ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে অটোরিকশা করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় ৩ যুবক। পরে পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ধ”র্ষ”ণ করে তারা।
এর পর ভুক্তভোগীকে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে নিয়ে আরেক দফা ধ”র্ষ”ণ করা হয়। এ সময় ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হ”ত্যা করা হবে জানিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ধ”র্ষক”রা।
পাঠকের মন্তব্য: