




মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়ন এলাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের গাংকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলার শিকার হয় তিনি। নিজের মামার পক্ষে ইসিবপুরে নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে এসেছিলেন তিনি। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও ৫ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা গোলাম রাব্বানীসহ আহতদের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।





প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ইউপি নির্বাচনে ইশিবপুর ইউনিয়নে গোলাম রব্বানীর মামা সালাহ উদ্দিন আহমেদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মামার পক্ষে বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ ভোটগ্রহণ চলাকালীন ৭নং ওয়ার্ডের গাংকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিপক্ষ মোশারফ মোল্লার লোকজন ভোট কেটে নেয়ার চেষ্টা করছে, এ খবর শুনে গোলাম রাব্বানী সেখানে গেলে মোশারফ মোল্লার ছেলে তার উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে গোলাম রাব্বানীকে কোপ দেয় সে। এসময় রাব্বানী কোপ ফেরাতে গেলে তার ডান হাতের দুটি আঙ্গুল কেটে যায়। পরে এ নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও ৫ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা গোলাম রাব্বানীসহ আহতদের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে রব্বানীর হাতে সেলাই দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয় কথা বলতে রাজি হননি গোলাম রব্বানী। তবে পুলিশ বলেছে লিখিত দিলে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।





প্রসঙ্গত, এর আগে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান রাব্বানী। ২০১৯ সালের শেষদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে। পরে বিভিন্ন অভিযোগে রাব্বানীসহ সে সময়কার সভাপতি শোভনকে পদচ্যুত করা হয়।





জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অভিযোগ অবশ্য শুরু থেকেই অস্বীকার করছিলেন রাব্বানী ও শোভন। অভিযোগ অস্বীকার করে রাব্বানী তখনই বলেছেন, চাঁদা দাবির কথা জাবি উপাচার্য প্রমাণ করতে পারবেন না।
এমনকি রাব্বানী দাবি করেছিলেন, জাবি উপাচার্য শাখা ছাত্রলীগকে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েবকজন নেতাও প্রকাশ্যে জাবি ভিসির কাছ থেকে টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন।
পাঠকের মন্তব্য: