




ইলমা চৌধুরী। বয়স ২৬ বছর। বাড়ি ঢাকার ধামরাইয়ে হলেও থাকতেন রাজধানীর বনানীতে। পাঁচদিন আগে দেশে ফিরেই এ বাসায় ওঠেন কানাডা ফেরত স্বামী ইফতেখার। স্বামী ফেরার পরই লা;শ হলেন ইলমা। যদিও ইলমা আত্ম হ;ত্যা করেছেন বলে দাবি স্বামীর। তবে নিহতের শরীরে ছিল একাধিক জ;খ;মে;র চিহ্ন। তাই এ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে ইলমার লা;শ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ম;র্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় তার স্বামী ইফতেখারকে আটক করা হয়েছে।





ইলমা ধামরাই উপজেলার সাইফুল ইসলামের মেয়ে। পড়শোনা করতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইলমার মৃত্যু নিয়ে পরিবার ও সহপাঠিদের দাবি, স্বামীর নি;র্যা;ত;নে;ই ঢাবির এ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
ইলমার খালু ইকবাল হোসেন জানান, পাঁচদিন আগে ইলমার স্বামী কানাডা থেকে ঢাকার বাসায় আসেন। মঙ্গলবার ইলমা আত্ম হ;ত্যা করেছেন বলে জানান তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
অভিযোগ করে ইকবাল বলেন, আমার ভাগ্নিকে তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন মে;রে ফে;লে;ছে। আমরা এর বিচার চাই। ইলমার শরীরে আমরা অনেক আ;ঘা;তে;র চি;হ্ন পেয়েছি। গ;লা;য়ও আ;ঘা;তে;র চিহ্ন দেখেছি। ইলমা আত্ম হ;ত্যা করতে পারে না। তাকে হ;ত্যা করা হয়েছে।





বনানী থানার ওসি নুরে আজম মিয়া জানান, ম;র;দেহের গ;লা;য় দাগসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ;খ;মে;র চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি হ;ত্যা মামলা করা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
ইলমার সহপাঠী মজিদা নাসরিন মম বলেন, বিয়ের আগ পর্যন্ত বেগম সুফিয়া কামাল হলে থাকতেন ইলমা। বিয়ের পর থেকে বনানী শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তার সঙ্গে শেষ দেখা হয়। একটি পরীক্ষা দিতে আসছিলেন। এরপরে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। আমরা শুনেছি তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিতেন না। তাকে সন্দেহ করতেন।





তিনি বলেন, এমনকি ফোন দিলেও রিসিভ করতেন শাশুড়ি। আমরা তার শরীরের আ;ঘা;ত;গুলো দেখেছি। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলেছে আত্ম হ;ত্যা করেছে। ইলমা কোনোভাবেই আত্ম হ;ত্যা করেনি। তাকে হ;ত্যা করা হয়েছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
পাঠকের মন্তব্য: