




ইমিগ্রেশন পুলিশ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুরাদ হাসান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল দিয়ে বেরিয়ে গেছেন। দেশে একটি বেসরকারি চ্যানেলের লাইভ সম্প্রচারে দেখা গেছে, হুন্দাই কোম্পানির একটি প্রাইভেটকারে চড়ে মুরাদ হাসান উত্তরার পথে রয়েছেন। গাড়িতে ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড রয়েছে। এর আগে, রোববার বিকেল ৫টায় মিরেটস এয়ারলাইন্সের একে-৫৮৬ ফ্লাইটে দেশে ফিরেন মুরাদ হাসান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে দুবাই হয়ে কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন মুরাদ হাসান। কিন্তু টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সেখানে ঢুকতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে তাকে আবার দুবাইতে ফিরে আসতে হয়। আরব আমিরাতের ভিসা পাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন মুরাদ হাসান। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।





তিনি সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মাহবুব আলী যখন বিমানবন্দর ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মুরাদ হাসান কোভিড-১৯ সনদ নিয়েছিলেন কি না, তার ভিসার মেয়াদ রয়েছেন কি না এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ওসি ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে মুরাদ হাসানের মন্তব্যের পর সমালোচনার মধ্যেই চিত্রনায়িকা মহিয়া মাহির সঙ্গে তার একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। এরপর গত সোমবার রাতে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান।
পাঠকের মন্তব্য: