




কথায় বলে “বোবার কোন শত্রু নেই”, একথা আমরা ছোট থেকেই বড়দের মুখে শুনে এসেছি। যে কোন সমস্যা হোক, সেটা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতে পারে, বা কর্মক্ষেত্রে বসের সঙ্গে কোন বচসা হতে পারে। যদি আপনি নিজের মুখ বন্ধ রাখতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার জীবনে সমস্যা অনেক কম হয়ে গেছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে চুপ থাকাও ঠিক নয়।
যখন আপনাকে কেউ বিনা কারণে দোষারোপ করছে, তখন চুপ করে থাকা একদম ঠিক কাজ নয়। কথা কম বললে তো ভালোই হয় কিন্তু কতজন কথা না বলে থাকতে পারে? একমাত্র সিদ্ধ পুরুষ ছাড়া এটি করা কারোর পক্ষে সম্ভব নয়। তারাই পারেন মৌন ব্রত নিয়ে কথা না বলে থাকতে।





কিন্তু বর্তমানে কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞরা একটি গবেষণার পর বলছেন যে নীরবতাও এক ধরনের কমিউনিকেশন। নীরব থেকেও সামনের মানুষটিকে অনেক কিছু বলা যায়। কিছু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে মুখ না খোলা আমাদের নিজেদের আর আমাদের আশেপাশের মানুষজনদের ক্ষেত্রেও লাভজনক। এমন পাঁচটি সময় যখন চুপ থাকাই ভালো। সেই পাঁচ সময় হল –
১। কারোর মৃত্যুর পর তার আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাদের সান্তনা না দিয়ে সেখানে চুপ থাকাই ভালো। অকারনে সান্তনা দিতে গিয়ে সেখানে কথা বাড়ানোর কোন মানে হয়না। বরং চুপ থাকলে তারা মনে করবেন আপনি সত্যিই শোকাহত।





২। নিজেকে যখন বিভ্রান্ত মনে হবে তখন কারোর সঙ্গে কথা না বলে চুপ থাকুন। চুপ থেকে নিজের মনে চিন্তা করুন। যদি আপনি আপনার চিন্তার কথা কাউকে বলতে যান সে তো বুঝবেইনা উলটে আপনাকে ভুল পরামর্শ দিয়ে চলে যাবে। আবার আপনি ওই সময় কারোর সাথে কথা বললে হয়তো আপনি নিজের অজান্তে এমন কোন কথা বলে ফেলতে পারেন যা বিবাদের সৃষ্টি করে।
৩। কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে সেখানে কোন কথা না বলে চুপ থাকুন। চুপ করে সেই আলোচনা শুনুন। এতে লাভ আপনারই হবে।





৪। কাজের সময় যত সম্ভব কম কথা বলার চেষ্টা করুন। এর ফলে কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন, কাজে কোন ভুল হবেনা এবং দিনের শেষে ক্লান্তিও কম আসবে।
৫। বাজে তর্ক এবং ঝগড়ার ক্ষেত্রে নিজের মুখ বন্ধ রাখুন। বিশেষ করে যারা সে বিষয়ে অজ্ঞ তাদের সাথে তো তর্কে একদমই জড়াবেন না। এতে অকারন ঝগড়া থেকে নিস্তার পাবেন।
পাঠকের মন্তব্য: