এক থোকা আঙুরের দাম ১০ লাখ টাকা

দেখতে অনেকটা বাজারে পাওয়া যায় এমন কালো আঙুরের মতোই। তবে কালো আঙুরের মত হলেও, লাল ভাগটাই বেশি থাকে এই আঙুরগুলিতে। আঙুরগুলির নাম রুবি রোমান আঙুর। একমাত্র জাপানেই এই আঙুরের চাষ হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে দামের কারণে বিশ্বের সর্বাধিক মূল্যবান আঙুর হিসাবে উঠে এসেছে এর নাম।

এই আঙুরের বিশেষ কিছু গুণ এবং আকারই মূলত এত দামের কারণ। ছবিতে সাধারণ আঙুরের মতো দেখতে লাগলেও এগুলি আকারে অনেকটাই বড়। পিংপং বলের মতো আকার হয় এক একটি আঙুরের।

রুবি রোমান আঙুর। ছবি: সংগৃহীত

এই গাছে ফল ধরানোও খুব কঠিন। জাপানের ইশিকাওয়াতেই একমাত্র এর চাষ হয়। ১৪ বছর ধরে জমি তৈরি করার পর জাপানে এই আঙুরের চাষ সম্ভব হয়েছে। প্রতি বছর মাত্র ২৪ হাজার আঙুরের থোকা ফলানো সম্ভব হয়। খুব কম পরিমাণে ফলন হয় গাছের। তার মধ্যে আবার সমস্ত ফল বিক্রি করা যায় না। দাম দিয়ে কিনে সাধারণ মানুষকে যাতে প্রতারিত না হতে হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে জাপান সরকার।
রুবি রোমান আঙুর। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিটি আঙুরের গুণগত মাণ বিচার করা হয়। পাশাপাশি এগুলোর স্বাদেও যাতে কোনোরকম কমতি না হয়, সে দিকেও বিশেষ নজর থাকে বিশেষজ্ঞদের। একটি শাখায় যতগুলি আঙুর থাকে তার সবগুলোর গুণগত মান পর্যাপ্ত না থাকলে সেগুলি থেকে অনেক আঙুরই বাদ দেওয়া হয়।

ফলে যে পরিমাণ ফলন হয় তার সবটুকু বিক্রি করা যায় না। এর মধ্যে যে আঙুরগুলোর গুণগত মান ঠিক থাকে সেগুলোতে স্টিকার মারা হয়। সেগুলোই একমাত্র বিক্রি করা হয়।

অবাক করা বিষয় হলো এই প্রক্রিয়ায় ২০২০ সালে মাত্র একটি আঙুরের থোকা বিক্রি করা গিয়েছিল। নিলামে ওঠানো হয়েছিলো সেই এক থোকা আঙুর। দাম উঠেছিল ১২ হাজার আমেরিকার ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১০ লাখ টাকা ছিল। সেই অনুযায়ী প্রতিটি আঙুরের দাম ছিল ৪০০ ডলার বাংলাদেশী মুদ্রায় ছিল ৩৩ হাজার টাকা।

ইত্তেফাক

পাঠকের মন্তব্য:

Check Also

১৮ ইঞ্চির শাহীনের স্বপ্ন পূরণ করলেন তামিম

বরিশালের শাহীন ফকির। ১৮ ইঞ্চি উচ্চতার এই যুবককে দমিয়ে রাখতে পারেনি শারীরিক প্রতিবন্ধিতা। ত্রিশোর্ধ্ব শাহীন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *