




বিজ্ঞাপনচিত্র ও চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ে আসেন পূজা চেরি। অভিনয় গুণে সহজেই নজর কাড়েন সবার। তারপর নায়িকা হিসেবে অভিনয়। গেল বছর পর পর দুইটি হিট ছবি দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন শিশু শিল্পী থেকে নায়িকা বনে যাওয়া পূজা চেরি।
ক্যারিয়ারের শুরুতেই পূজার বিরুদ্ধে শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। দেশের বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ডে’ বিষয়ক অনুষ্ঠানের প্রযোজক শাহ আমির খসরু তার বিরুদ্ধে শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ এনেছেন।





এ প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, ‘‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ডে’ উপলক্ষে আরটিভি একটি অনুষ্ঠান প্রচার করবে। এই অনুষ্ঠানটির প্রযোজক আমি। গত মাসের ২০ তারিখে আমাদের অনুষ্ঠানের রেকর্ডিং ডেট ফাইনাল হয়। অনুষ্ঠানের একটি গানের মডেলিং করার জন্য কোরিওগ্রাফার তানজিলের সঙ্গে আমাদের কথা হয়। তিনি পূজা চেরির সঙ্গে কথা বলেন। অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিস্তারিত বলেন। পূজা চেরি শিডিউল নিয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হন।’
পূজা চেরির শিডিউল প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, ‘আরটিভির পক্ষ থেকে পূজার সঙ্গে আমি কথা বলি। পেমেন্ট বিষয়ে কথা বলে তার শিডিউল ফাইনাল করি। এরপর বেশ কয়েকবার তার সঙ্গে কথা হয়। বারবার তাকে অনুষ্ঠানের বিষয়ে স্মরণ করাই। গত পরশু গত মঙ্গলবার রাত আটটায় পূজা আমাকে কল করে। আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম।





পরে রাত নয়টায় কল ব্যাক করি। পূজা জানতে চান আমার নাচ কখন, আমি বলেছি রাত ৮টা অথবা ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে আপনার নাচ শেষ হবে। আপনি নয়টা পর্যন্ত হাতে সময় নিয়ে আসবেন প্লিজ। তখন পূজা বললেন, রাত ৮টায় আমার অন্যখানে শুটিং আছে। সেখানে আমায় ৮টার আগে পৌঁছাতে হবে। ৭টার দিকে রওয়ানা দিতে হবে। আমি বললাম, আমাদের অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। তাহলে তো অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে না।’
আগেই পূজা তার দুই শিডিউল বিষয়ে জানিয়েছিলেন কি-না জিজ্ঞেস করলে আমির খসরু বলেন, ‘আমি মোবাইল ফোনে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি আমার সঙ্গে শিডিউল কনফার্ম করে একই সময়ে কিভাবে শিডিউল নিলেন? উনি বললেন, ইত্যাদির শুটিং আছে।’





আমির খসরু আরো বলেন, ‘আমি পূজাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য বললাম। তাকে এও বললাম আমাদের কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হই সে চেষ্টা করেন। তার জন্য শিডিউল এগিয়ে আনলাম। তার সঙ্গে কথা হলো। তিনি আবারো শিডিউল ফাইনাল করলেন, নাচের প্রাকটিসের জন্য তানজিলের স্টুডিওতে গেলেন। স্টুডিওতে যেয়ে জানান, নাচের থিম ভালো লাগছে না।
তখন তাকে বলেছি, আপনার থিম অনুযায়ী হবে। আপনার মতামতই ফাইনাল। তিনিও রাজি হন। ওই কথা শেষ কথা। পরবর্তীতে তানজিল জানান, পূজা স্টুডিও থেকে চলে গেছেন। অনুষ্ঠানটি করবেন না। তখন তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার সঙ্গে ভিন্ন মাধ্যমেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।’
এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েকবার পূজাকে কল দেয়া হলে তিনি কল কেটে দেন। পরবর্তীতে তাকে এসএমএস দেয়া হলেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
পাঠকের মন্তব্য: