




মুফতি ইব্রাহীমকে আটক করা হয়েছে। তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর লালমাটিয়ার জাকির হোসেন রোডের বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবির একটি দল।
মুফতি ইব্রাহীমকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, ‘মুফতি ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ ছিল। তিনি ফেসবুক, ইউটিউব ও ওয়াজে উল্টা-পাল্টা কথা বলেন। তার এসব কথার জন্য মানুষের কাছে ভুল মেসেজ যায়। ওই সব অভিযোগ যাচাই করতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি। আমরা তার সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছি, তিনি এসব কেন করেন।’





মুফতি ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না এবং তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে কি না, জানতে চাইলে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি। আর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তিনি উল্টা-পাল্টা কথা কেন বলেন, সেটার উত্তর জানতে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তার উত্তরের ওপর ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ভর করছে।’
সোমবার রাত ১টার পর মুফতি ইব্রাহীম তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন। প্রায় ২০ মিনিটের লাইভে তিনি অভিযোগ করেন, মোহাম্মদপুর জাকির হোসেন রোডে তার বাসায় সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। তিনি আশপাশের সবাইকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসতে বলেন।





লাইভে ইব্রাহীম জানান, দেশের সরকার ও জনগণের কল্যাণে, দেশের স্বাধীনতার জন্য গত দুই জুমার নামাজে খুতবা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে হিন্দুস্তানি রাজাকার ও তাদের এজেন্টরা তার পেছনে লেগেছে। মাঝরাতে বাসায় হামলা করেছে।
সেই লাইভে মুফতি ইব্রাহীম বঙ্গবন্ধুর মতো স্লোগান দিয়ে বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম দেশকে স্বাধীন করার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম দেশকে হিন্দুস্তানি রাজাকার মুক্ত করার সংগ্রাম।’





‘দেশের পক্ষে কথা বললেই রাজাকাররা আমাদের ওপর হামলা করে, মামলা দিয়ে হয়রানি করে। দুই সপ্তাহ দেশের পক্ষে কথা বলেছি, আর সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে তারা বলে হুজুর আপনার নামে মামলা আছে। এরা সকলেই হিন্দুস্তানি দালাল। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে।’
মুফতি ইব্রাহীমের ফেসবুক লাইভ শেষে রাত ২টার কিছু পর থেকে তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে জানা যায়, ডিবি হেফাজতে আছেন তিনি।
পাঠকের মন্তব্য: