




পঞ্চগড়ে বাসর রাতেই অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন বাবুল হোসেন (২০) নামে যুবক। তার বাড়ি জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চরতিস্তাপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের সফিজুল ইসলামের ছেলে। আজ শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে দেবীগঞ্জের চরতিস্তাপাড়া গ্রামে এই আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে। সকাল নয়টায় ওই যুবকের লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান গতকাল রাতে বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের দিনবাজার এলাকার সবারউদ্দিনের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে বিবাহ সম্পন্ন হয় বাবুল হোসেনের। পাত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে তার প্রতিবেশি দাদী ও ছোট ভাই বোন কে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসে সাবিনা ইয়াসমিন। একদিকে বাবুল হোসেনের বাড়িতে দুটি শোয়ার ঘর অপরদিকে বাড়িভর্তি বিয়ের মেহমান।





পরে তাদের বাসর রাতে তারা কোন ঘরে অবস্থান করবে এ নিয়ে পরিবারের লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পাত্র বাবুল হোসেনের দাদী নানী অন্যান্য মুরুব্বিরা বলে আজ রাতটি মেহমানদের সাথে ঘুমাতে হবে। পরে রাতেই বাবুল হোসেন তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, প্রতিবেশি দাদী,
সামসুন্নাহার দুই ছোট বাচ্চা এবং বাবুল হোসেনের দুলাভাই হোসেল আলী সহ ঘুমিয়ে যায়। এদিকে শনিবার ভোর রাতে বাবুলের পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘরে দেখতে পায় বাবুল হোসেন ঝুলে আছে। পরে রান্নাঘরে প্রবেশ করেই বাবুল ঘরের সড়ের/আরা সাথে রশ্মি লাগিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখা যায়।





দেবীগঞ্জ থানার ওসি জামাল হোসেন জানায় ঘটনার খবর পেয়ে চরতিস্তাপাড়ায় গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে। একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে বিষয়টি সন্দেহজনক কারন ফাঁস টানা হলেও মৃতদেহের পা মাটিতে স্পর্শ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আত্মহত্যা না হত্যা তদন্ত করা হচ্ছে।