




বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা দুই দফা অনশন শুরু করেছেন এক কলেজ ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার (২৩সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে দুই দফা অনশন করে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের প্রেমিক রিপন আহম্মেদের বাড়িতে।
প্রেমিক রিপন আহম্মেদ ওই গ্রামের মো: আবুল খায়েরের ছেলে। ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রী একই ইউনিয়নের দামুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শেরপুর ডিগ্রী কলেজের প্রথম বর্ষের এবং রিপন আহম্মেদ বগুড়া আজিজুল হক কলেজে অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।





এলাবাসী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, ঐ কলেজ ছাত্রী এক ধরনের প্রতারক। বিয়ে করে আর কিছু টাকা নিয়ে স্বামীকে তালাক দেয়। পরে এ বিষয়ে ঐ কলেজ ছাত্রীর মামা জানান, তার গত ৫ বছর আগে এইক ইউনিয়নে চকপাতালিয়া গ্রামে বিয়ে হয়েছিল। সেখানে একদিন সংসার করার পর বিচ্ছেদ হয়।
ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রী জানান, গত তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের প্রেলোভন দেখিয়ে প্রেমিক রিপন আহম্মেদ তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে শারিরিক সম্পর্ করে। এরপর গত ২০সেপ্টেম্বর রিপন আহম্মেদ অন্য এক মেয়েকে বিয়ের জন্য রেজিস্ট্রি করে।





এ খবর শুনে ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে রিপনের বাড়িতে কলেজছাত্রী অনশন শুরু করে। পরে রাত্রিতে মামার সঙ্গে চলে যায় আবার ২৪ সেপ্টেম্বর অনশন শুরু করে। দুই দফা অনশেনের করায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।
এ বিষয়ে রিপনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এবং পলাতক থাকায় এ বিষয়ে প্রেমিক রিপন আহম্মেদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।





এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, দুই দফা অনশন করার পর থানায় এসে ঐ কলেজ ছাত্রী থানায় আসে। পরে নারী বা শিশুকে ধর্ষণ আইনের ধারা ৯ (১) এ মামলা হয়েছে। আসামিকে ধরতে চেষ্টা চলছে।
Alok Barta Bangla Live News
