নিজের স্ত্রীকে মৃ”ত ভেবে গা ঢাকা দেয় মাসুদ

বিয়ের ২ মাসের মাথায় বাবলী নামে এক নববধূ শশুর বাড়ীর নি”র্যাত”নের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বাবলী বর্তমানে হাসপাতালে মৃ”ত্যু”র সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী মাসুদ গা ঢাকা দিয়েছে। মেয়ের অভিযোগ যৌতুকের টাকার জন্য বেশ কিছুদিন থেকে শা”রীরিকভাবে নি”র্যা”তন চালাচ্ছে মাসুদ।

শুধু মাসুদ নয় তার বাবা ও মা সহ পরিবারের লোকজন সময়ে অসময়ে মানসিক নির্যাতন সহ গালমন্দ করছে। গত বুধবার রাতে মাসুদ যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালায় বাবলীকে। বাবলী কে তার বসত ভিটা বিক্রি করে যৌতুকের টাকা দাবী করে মাসুদ। এক পর্যায়ে ২ হাত দিয়ে গলা চেপে ধরে। অবস্থা বেগতিক হলে মৃ”ত ভেবে গা ঢাকা দেয় মাসুদ। পরে তার পরিবারের লোকজন সকালে স্থানীয় লোকজন খবর দিলে বাবলীর বাবা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চড়ইগতি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মাসুদ ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরিকালে পার্লারের কর্মী বাবলীর সাথে পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে মাসুদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে বাবলীকে মাসুদ তার পূর্বের স্বামীকে তালাক দিতে বলে।

সে নিজে বিয়ে করবে বাবলী জানায়। চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল মাসুদকে বিয়ে করে। একসঙ্গে ৩ মাস সংসারও করে। উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রী”কে মারধর করে বাসা ছেড়ে চলে যায়। সেই সাথে মেয়েটির সাথে সব রকমের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

উপায়ান্তর না পেয়ে বাবলী ঢাকা থেকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চড়ইগতি গ্রামের মোহাম্মদ আলী ছেলে মাসুদের বাসায় এসে হাজির হয়। বিবাহের কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে এসে এলাকার লোকজনের কাছে বিচার দাবি করে। এভাবে দীর্ঘ ১৫ দিন ছেলের বাড়িতে অবস্থান নেয় বাবলী।

অবশেষে গত ২৫ জুলাই রাতে বড়বাড়ী ইউিপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আকরাম আলী ও আমজানখোর ইউপি চেয়ারম্যান আকালুর হস্তক্ষেপে আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিসে দীর্ঘ আলোচনার পর ৩শ টাকার নন-জুড়িশিয়াল ষ্ট্যাম্পে বাবলীকে মেনে নিতে বাধ্য হয় ছেলের পরিবারের লোকজন।

পাঠকের মন্তব্য:

Check Also

ফিল্মি কায়দায় স্ত্রী’র গণ ধ” র্ষ”ণের প্রতিশোধ নিলেন স্বামী! পুরো ঘটনাটি জানলে চমকে যাবেন আপনিও

মধ্যপ্রদেশের রাতলাম জেলায় স্ত্রী’র গণ ধ” র্ষ”ণের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ফিল্মি কায়দায় অপরাধীকে “শাস্তি” দিলেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *