বরিশাল শহরে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩৫!
বরিশাল থানা কাউন্সিল কম্পাউন্ডে ব্যানার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ কর্মকর্তাদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিষয়টি নিশিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সহ -সভাপতি আতিকুল্লাহ মুনিম ও সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত।
খবর পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে থানা কাউন্সিল ঘেরাও করে। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে হট্টগোল বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সেইসঙ্গে দফায় দফায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এবং নেতাকর্মীদের বিক্ষোবের এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যারা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে এবং ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।
বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুাহ মুনিম জানান, নগর পরিছন্ন রাখার লক্ষে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের নেতৃত্বে কর্মচারীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণের কাজ করছিল। রাত ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার অপসারণ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান ও তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের।
এ সময় কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো. মুনিবুর রহমান আনসার সদস্যদের গুলি করার নির্দেশ দেন। আনসরারা এলোপাথারী গুলি করলে সিটি করপোরেশনের কর্মীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলিবিদ্ধ হয় বলে দাবি করেন সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল ইসলাম লিটু।
এদিকে থানা কাউন্সিলের সামনের বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের ওপর ময়লা ও ময়লাবহনকারী গাড়ি দিয়ে রাস্তা আটকে দিয়েছে করপোরেশনের কর্মচারীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, সিটি করপোরেশনের স্টাফদের সঙ্গে ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। তিনি বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। পরিস্থিতি শান্ত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সড়কে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পাঠকের মন্তব্য: