কুষ্টিয়া শহরের ছয় রাস্তার মোড় এলাকার আদ-দ্বীন হাসপাতালে ব্যান্ডেজ কাটতে গিয়ে তিনদিন বয়সী এক শিশুর হাতের আঙুলটাই কে;টে ফে;লে;ছে;ন নার্স মমতাজ পারভীন। শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।মঙ্গলবার ওই শিশুর জন্ম হয়। তার বাবা রফিকুল ইসলাম ও মা রিতু।
শিশুটির পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রিতুকে আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে যান রফিকুল ইসলাম। সেখানে সেদিনই সিজারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রিতু। জন্মের পর থেকে শিশুটি অসুস্থ ছিল। তার চিকিৎসার জন্য ডান হাতে ক্যানোলা স্থাপন করা হয়। ক্যানোলা টেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে আটকানো ছিল, যাতে নড়াচড়া করলেও সেটি খুলে না যায়। শুক্রবার ভোর ছয়টার দিকে হাসপাতালে নার্স মমতাজ পারভীন শিশুটির হাত থেকে ক্যানোলা খুলতে যান। ওই সময় ব্যান্ডেজ কা;ট;তে গিয়ে শিশুটির একটি আঙুল কে;টে ফে;লে;ন তিনি।
আরো জানা গেছে, ঘটনার পর অবস্থা বেগতিক দেখে কে;টে ফে;লা আঙুল দ্রুত ব্যান্ডেজ করে দেন ওই নার্স। বিষয়টি জানাজানি হলে স্বজন ও স্থানীয়দের তো;পে;র মুখে তড়িঘড়ি করে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, আদ-দ্বীন হাসপাতাল থেকে বাচ্চাটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। হাসপাতাল ছাড়ার আগেই হাতে লাগানো ক্যানোলা খুলতে গিয়ে ব্যান্ডেজ কা;টার সময় কাঁ;চি দিয়ে আমার নবজাতক মেয়ের আ;ঙু;ল কে;টে ফে;লে;ন নার্স মমতাজ।
আদ-দ্বীন হাসপাতালের ম্যানেজার রবিউল আওয়াল বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। নার্স মমতাজ ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করেননি। আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। শিশুটিকে ঢাকায় পাঠিয়েছি।
পাঠকের মন্তব্য: